ইউরোপের একটি দেশ ইতালি। অন্যান্য দেশের থেকে ইউরোপ যেতে বহুগুণ টাকা লাগে। সাথে ব্যাংক ব্যালেন্স থাকতে হবে। ইতালির রাজধানী রোম। এটি একটি উন্নত শহর। এই শহরেও অনেকে কাজ করার জন্য ভিসা বানায়। ভিসা হচ্ছে বিদেশ আসার জন্য এক প্রকারের ডকুমেন্ট। বিশ্বের যেকোনো দেশে যেতে ভিসা লাগবেই। তবে ইতালি ভিসার দাম কত? বা ইতালি যেতে কত টাকা লাগে।
এই প্রশ্ন গুলো সবার রয়েছে। ইতালি যাওয়ার জন্য ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা লাগে। এটা সম্পুর্ন ভাবে ভিসার উপর নির্ভর করে। ভালো ভিসা ইতালি আসতে পারলে ভালো চাকরি করা যাবে। এখানে বেতন ও বেশি পাবেন। উন্নত চাকরির জন্য ইতালি ভিসার দাম ১৫ লাখ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত। নিম্ন মানের ইতালি ভিসা হচ্ছে কৃষি ভিসা, লেভার ভিসা ও শ্রমিক ভিসার মতো ভিসা গুলো। ইতালি বিমান ভাড়া কত টাকা, ইতালি আসার জন্য মোট কত টাকা লাগে ও কিভাবে ইতালি ভিসা বানাতে হয় বিস্তারিত রয়েছে নিচের অংশে।
ইতালি ভিসার দাম কত
উন্নত শিক্ষা বা চাকরির উদ্দেশ্য াজ করার জন্য একটি দেশ হচ্ছে ইতালি। যেখানে নানা রকমের কাজের ধরন আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি দিন অনেক মানুষ কাজের উদ্দেশ্য ইতালি আসে। তারা সেই দেশ থেকে ভিসা ও পাসপোর্ট বানিয়ে বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে ইতালিতে কাজ করে। বাংলাদেশ থেকেও ইতালি ভিসা চালু আছে। ভিসা বানানোর মাধ্যমে কাজের জন্য বা উচ্চশিক্ষার জন্য ইতালিতে আসতে পারবেন। বাংলাদেশ-ইতালি ভিসার দাম কিছুটা নির্ধারিত। তবে ভিসার ধরনের উপরের এদের দাম নির্ধারন করে দেওয়া আছে। তাই ভিসার মূল্য না জেনে ভিসা বানিয়ে প্রতারিত হবেন না।
ভিসার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশে ভিসা সম্পর্কিত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে। যেখানে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এছাড়া ভালো একটি এজেন্সির মাধ্যমে ইতালি ভিসা বানানো যাবে। এখন এই ভিসা গুলো দাম বেড়েছে। কাজের ধরনের উপর নির্ভর ইতালি ভিসার দাম ১০ লাখ থেকে ২৫ লাখ পর্যন্ত। উচ্চ চাকরির জন্য ইতালি ভিসার মূল্য ২০ লাখের উপরে। ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় বিসা বানিয়েও ইতালিতে চাকরি করতে পারবেন। ইতালি কৃষি ভিসার দাম ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা। ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় স্টুডেন্ট দের জন্য ভিসা দেওয়া হয়।
ইতালি ভিসার দাম ২০২৪
বর্তমানে বিশ্বে ডলারের রেট বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে সকল দেশের ভিসার দাম বেড়েছে। আমরা টাকা দিয়ে ভিসা বানালেও, সেগুলো ডলারে কনভার্ট করে বিদেশে ভিসার জন্য পাঠানো হয়। ফলে বেশি টাকা দিয়ে ডলার কিনতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। আগের সময়ে ১২ থেকে ১৮ লাখ টাকায় যেকোনো ধরনের ভিসায় ইতালি যাওয়া যেতো। ২০২৩ সাল থেকে ইতালি ভিসার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ইতালি যেতে প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকা লাগে। নিম্ন মানের ভিসায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ হয়। এদিকে কৃষি ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ও শ্রমিক ভিসার মূল্যও অনেক বেড়েছে।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
অনেকের স্বপ্নের দেশ ইতালি। তবে এই স্বপ্ন পুড়নের জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে ভিসা বানাতে হয়। এছাড়া পাসপোর্ট এর জন্য আলাদা খরচ করা লাগে। ১২ হাজার টাকার বা ১৫ হাজারের মধ্যে পাসপোর্ট বানানো যায়। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে শুধু বিমান ভাড়া ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লাগে। এছাড়া বাংলাদেশে কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান রয়েছে াদের মধ্যে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে বিমান ভাড়া ব্যবধান আছে। প্রতিদিন বিমানের টিকিটের দাম পরিবর্তন হয়। সেই অনুযায়ী ৭০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিমানের যাত্রী ভাড়া। ইতালি যেতে বিমান ভাড়া ১ লাখ ২০ হাজারের মধ্যে। কিন্তু ভিসা সহ ইতালি যেতে মোট ১০ লাখের উপরে খরচ হবে।
ইতালি কাজের ভিসার দাম কত
ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। এই কাজের উপর ভিত্তি করে ভিসা বানাতে হয়। ভালো মানের কাজ পেতে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা দিয়ে ভিসা বানাতে হবে। এই কাজের মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির কাজ বা অফিসের কাজ করতে পারবেন। যারা উচ্চশিক্ষত তারা ইতালিতে বিভিন্ন অফিসে জব করতে পারে। এখানে কৃষি ভিসা, লেভার ভিসা, শ্রমিক ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা সহ আরও বিভিন্ন ক্যাটাগরির চাকরির ভিসা আছে। যাদের উপর ভিসার মূল্য নির্ভর করে থাকে। কম খরচে ইতালি আসতে চাইলে কৃষি ভিসা, শ্রমিক ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা বানাতে পারেন। এই ভিসা গুলো ৮ থেকে ১২ লাখ টাকায় পাওয়া যাবে।
ইতালি জব ভিসার দাম
ইতালিতে জব ভিসার দাম অনেক বেশি। যারা বাংলাদেশ থেকে পড়া শেষ করে চাকরি নিতে চান তারা ইতালিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য এই দেশের ভিসা লাগবে। ইতালিতে অনেক দেশ থেকে চাকরির নিয়োগে কর্মচারি নেওয়া হয়। ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা দিয়ে ইতালির জব ভিসা বানাতে হবে। এই ভিসায় ইতালিতে আসতে প্রায় ২৫ লাখের কাছা-কাছি টাকা লাগবে। এছাড়া তাদেরকে ব্যাংক ব্যালেন্সও দেখাতে হবে।
ইতালি কৃষি ভিসার দাম কত টাকা
ইতালিতে কৃষি কাজ করা হয়। এখানে কৃষি কাজ আরও উন্নত। বেশির ভাগ কাজ গুলো মেশিন বা যন্ত্র দ্বারা করা হয়ে থাকে। তাই এই কাজের জন্য ইতালিতে আসতে চাইলে পূর্ব থেকে কিছুটা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে হবে। বিনা অভিজ্ঞতায় এখানে কাজ পাবেন না। কৃষি কাজের মধ্যে রয়েছে ফার্মের কাজ। সব মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় কৃষি ভিসায় ইতালি আসা যাবে।
ইতালি কোম্পানি ভিসার দাম
ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আছে। এই কোম্পানি গুলো প্রতি বছর কাজের লোকের জন্য নিয়োগ দেয়। বাংলাদেশেও এদের কোম্পানি থেকে নিয়োগ দেওয় হয়। অনেক কোম্পানিতে ভিসার দাম কম। সেখানে ১২ লাখ টাকা দিয়ে কোম্পানির ভিসায় ইতালি আসা যায়। তবে অনেক কোম্পানি চুক্তি ভাবে বা সিজনাল ভিসায় নিয়োগ দেওয়। যেখানে নিদিষ্ট কয়েক মাস পর কাজ শেষ হলে তাদের কে দেশে পাঠিয়ে দিবে।
ইতালি সিজনাল ভিসার দাম ২০২৪
ইতালি সিজনাল ভিসা কি? এই ভিসার কাজ কি? ইতালি সিজনাল ভিসা হচ্ছে চুক্তি নির্ভর ভিসা। যে ভিসা গুলো ইতালি কোম্পানি থেকে বিভিন্ন দেশে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই ভিসার খরচ অনেক সময় কম হয়। তাদের কাছে আবেদনের মাধ্যমে সিজনাল ভিসায় ইতালিতে কাজ করতে পারবেন। এজন্য বাংলাদেশি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। সিজনাল ভিসা গুলো ৬ থেকে ১২ মাসের জন্য কাজ করানো হয়। এরপর কোম্পানির কাজ শেষ হবে এবং তাদের শ্রমিকদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ৮ থেকে ১২ লাখ টাকায় সিজনাল ভিসা বানাও জায়।
ইতালি টুরিস্ট ভিসার দাম কত
ভ্রমণের জন্য বিদেশ যেতেও ভিসা লাগে। আর এই ভিসার নাম হচ্ছে টুরিস্ট বা পর্যটক ভিসা। এই ভিসার জন্য সময় কাল দেওয়া হবে। যেমন আপনি ২ মাসের জন্য ইতালি যেতে চাইলে ভিসার মেয়াদ ২ মাস দিবেন। ২ মাস হলে ভিসা শেষ হবে আর আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। আর আপনি যদি এক বছরের জন্য ইতালি বেড়াতে যান, তাহলে ভিসার মেয়াদ ১ বছর দিতে হবে। এর ফলে ভিসার খরচ আরও বেড়ে যাবে। যত বেশি দিনের জন্য টুরিস্ট ভিসা বানাবেন তার দাম আরও বেশি হবে। ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে টুরিস্ট ভিসা বানাতে হবে। বেশি দিনের জন্য গেলে ৭,৮ লাখ টাকা লাগবে। ফ্যামিলি সহ গেলে প্রতেকের জন্য আলাদা করে টুরিস্ট ভিসা বানাতে হয়। যার ফলে এর দাম আরও বেশি হবে।
ইতালি শ্রমিক ভিসার দাম
এই দেশে নিজের শ্রমিক অনেক কম। তাই অন্য দেশ থেকে শ্রমিকের কাজের জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। ইতালিতে শ্রমিকদের জন্য অনেক ধরনের কাজ আছে। তবে ভিসার মূল্য একই। ইতালি শ্রমিক ভিসার দাম ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে শ্রমিক ভিসা ইতালিতে কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন কল কারখানার কাজ এই ভিসার মাধ্যমে করানো হবে।
ইতালি বিজনেস ভিসার দাম
যারা ববসায়িক কাজের জন্য বিদেশ যায় তাদের বিজনেস ভিসা বানাতে হয়। বা এই ভিসার মাধ্যমে অন্য দেশে নিজের বিজনেস চালু করা যাবে। বিজনেস এর ধরনের উপরে এই ভিসার মূল্য নির্ধারন করা হয়। বড় ব্যবসায়ের জন্য ইতালি বিজনেস ভিসা ১৫ লাখ টাকা। সাধারণ ব্যবসায়ের জন্য ১২ লাখ টাকা। এর থেকে কমও লাগতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত
ইতালি দেশ যেমন উন্নত, এখানে পড়াশুনার ,মান ও অনেক ভালো। অনেক দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থীরা ইতালিতে পড়ার জন্য আসে। স্কোলারশীপ নিয়ে আসতে পারলে ফ্রিতেই পড়াশুনার জন্য ভিসা পাবেন। এছাড়া যারা আইএলটিএস সম্পূর্ণ করে আসে তাদের পয়েন্ট এর উপর নির্ভর করে ভিসার দাম কম নেওয়া হয়। ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে ইতালি সস্টুডেন্ট ভিসা বানাতে পারবেন। অনেক সময় সরকারি ভাবে এই দেশে পড়াশুনা করা যায়।
বাংলাদেশে ইতালি ভিসার দাম কত
বাংলাদেশ থেকে ইতালির জন্য অনেক গুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। এই ক্যাটাগরির উপর ভিসার দাম নির্ভর করে। উন্নতমানের চাকরির জন্য ইতালি যেতে বাংলাদেশে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা লাগে। সাধারণ মানের কোনো ভিসা বানাতে ৫ব থেকে ৯ লাখ টাকা লাগে। আর বাংলাদেশ থেকে ইতালি বিমান ভাড়া ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট খরচ লাগবে ভিসার খরচ ও কাজের উপর নির্ভর করে ১০ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত।
ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৪ আবেদনের সময়
সামনে মাস থেকে ইতালি স্পন্সর ভিসার আবেদন শুরু হবে। এটি প্রায় বাঙ্গালিদের জন্য অনেক খুশির খবর। স্থায়ী বা পার্মানেন্ট স্পন্সরের আবেদন জমার ক্লিক ডে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের ২ ডিসেম্বর মাসে। আবেদন শুরু হবে সকাল ৯ টা থেকে। অফিসিয়াল গ্যাজেট অনুযায়ী, ডোমেস্টিক, কলফ ও বাদান্তে বা বাসাবাড়ির কাজের ভিসার ক্লিক ডে এ বছরের ৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে। সিজনাল ও কৃষি স্পন্সর ভিসার আবেদন শুরু হবে ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯ টা থেকে। মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার টি স্পন্সর ভিসা দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্থায়ী স্পন্সর ভিসা হবে মোট ৫২ হাজার ৭৭০টি। বাকি গুলোকে অস্থায়ী ভিসা দেওয়া হবে। অর্থাৎ কাজ শেষ আবার ফিরে আসতে হবে।
ভিসার পদ সংখ্যাঃ
- ডোমেস্টিক কাজের সম্ভাব্য জন্য ভিসা ১০-১২ হাজার
- সিজনাল ও কৃষি স্পন্সর ভিসা ৮২ হাজার ৫৫০টি
- স্ব-নিয়োজিতদের ভিসার সংখ্যা ৬৮০টি
এ বছর সব ধরনের ভিসার আবেদন নেওয়া হবে। ভিসার আবেদন কবে শেষ হবে তা জানা যায়নি। আবেদন শুরু হলে তার কিছুদিনের মধ্যেই জানা যাবে। তবে ভিসার কোটা পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত সময় কাল থাকবে। ভিসার মাধ্যমে কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদনপত্র জমা নেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্পন্সর ভিসায় ইতালি যেতে চাইলে সঠিক মালিক বা ভালো এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন। এ ক্ষেত্রে ইতালির স্পন্সর ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ইতালি টিকিটের দাম কত
বাংলাদেশ ৫ টি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর আছে। এখানে অনেক ধরনের বিমানের ফ্লাইট আছে ইতালি যাওয়ার জন্য। এই ফ্লাইট গুলোর উপরের টিকিটের দাম নেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিদিন টিকিটের রেট কম বেশি হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী ইতালি টিকিটের দাম বাংলাদেশে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ বিশ হাজার টাকা। এর মধ্যেই ইতালি যাওয়ার জন্য টিকিট কাটা যাবে। এজন্য অনলাইনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে যেকোনো দেশে যাওয়ার জন্য সিজনাল ও নন সিজনাল ভিসা বানাতে পারি। কিন্তু নন সিজনাল ভিসার অনেক গুলো ক্যাটাগরি আছে। তবে সিজনাল ভিসার কোনো ক্যাটাগরি নেই। এটি ইতালি কোম্পানির মাধ্যমে স্পন্সর করা হয়। শুধুমাত্র কয়েক মাসের কাজের জন্য সিজনাল ভিসা বানাতে হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় অনেক গুলো। যেমন স্টুডেন্টদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা, ব্যবসায়ীদের জন্য নিজনেস ভিসা, কাজের জন্য জব ভিসা, কোম্পানি ভিসা ইত্যাদি।
সহজে বলতে গেলে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় হচ্ছে ভিসা বানানো। এছাড়া আরও অনেক ধরনের ডকুমেন্ট লাগবে। ভিসার পাশা-পাশি পাসপোর্ট বানাতে হবে। যেমন আপনাকে যেকোনো একটি কাজের উদ্দেশ্য ইতালি যেতে হবে। ধরুন আপনি ভ্রমণের উদ্দেশ্য ইতালি যাবেন। এজন্য বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে ভিসার জন্য আবেদন করে টুরিস্ট ভিসা বানানো। এরপর পাসপোর্ট তৈরি করা। বিমানের টিকিট কাটা। তবে ইতালি যেকোনো কাজের জন্য যেতে ৮ লাখ থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকা লাগে। টাকা নির্ভর করে ভিসার ধরনের উপর।
ভারত থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
যদি কোনো বাংলাদেশে ভারত হয়ে ইতালি যেতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে তার আরও খরচ বেশি পড়বে। এছাড়া তাকে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে। তবে যারা ভারতীয় আছে তারা কোনো ঝামেলা ছারাই ভিসা ও পাসপোর্ট বানিয়ে ইতালি যেতে পারবেন। ভারত থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে তাদের দেশের টাকার রেট এর উপরে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কিছুটা ব্যবধান আছে ইতালি খরচের জন্য। কিন্তু সাধারণ ভাবে ভারত থেকে ইতালি যেতে ১০ থেকে ২২ লাখ টাকা লাগবে।সাধারণ ভিসায় গেলে ভারতেও বাংলাদেশের মতো ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে। বিস্তারিত বলতে গেলে ভারত থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করতেছে ভিসার ধরন, ভিসার খরচ ও টিকিটের রেট এর উপর।
ভারত থেকে ইতালি ভিসা
ইন্ডিয়া বা ভারত থেকে ইতালি যেতেও ভিসা ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। এবং বর্তমানে ভারতে ইতালি ভিসা চালু আছে। অনেক ভারতীয়য় বিজনেস বা ভ্রমণের জন্য ইতালি যায়। এজন্য তাদের কে ভারত থেকে ইতালি ভিসার আবেদন করতে হবে। ভিসার অনেক গুলো ক্যাটাগরি আছে। আপন যেকোনো একটি বেছে নিবেন। ভ্রমণের জন্য যেতে চাইলে টুরিস্ট ভিসা বানাবেন। সাথে একটি পাসপোর্ট বানাতে হবে। আপনি যে কয় দিন ভ্রমণ করতে চান, সেই অনুযায়ী ভিসা বানাবেন।
ভারত থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
হোক বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তান। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই ইতালির ভিসা চালু আছে। আর যে সকল দেশে ভিসা চালু আছে শুধু তারাই ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসা বানাতে পারবে। ভারতে এখন ইতালি ভিসা চালু আছে। ভারত থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় হচ্ছে আপনাকে ভিসা বানাতে হবে এবং একটি পাসপোর্ট বানাতে হবে। এরপর যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট ক্রয় করতে হবে। ভিসার জন্য ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৮ থেকে ২৫ লাখ টাকা লাগবে। শুধু ভ্রমণের জন্য ১২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত ঘন্টা সময় লাগে
ইতালি একটি ইউরোপের দেশ। আর বাংলাদেশ হচ্ছে এশিয়ার দেশ। দুই মহাদেশের মধ্যে কয়েক হাজারের বেশি দূরত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইতালির মোট দূরত্ব ৭২৯৫ কিলোমিটার। আকাশ পথে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে ১২ ঘ্টা ৫০ মিনিট সময় লাগে। কোনো সমস্যা না হলে এই সময়ের মধ্যেই ইতালি যাওয়া যায়। কোনো সমস্যা দেখে দলে সেক্ষেত্রে কিছুটা বেশি লাগতে পারে।
ইতালিতে কতদিন থাকা যায়
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে বা ঐ দেশে চাকরি-বসবাস করতে ভিসার প্রয়োজন। এই ভিসার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ মেয়াদ দেওয়া থাকে। যেমন সিজনাল ভিসায় ৬ মাস বা ১ বছরের মেয়াদ থাকে। তাই সিজনাল ভিসায় গেলে ইতালিতে ৬ থেকে ১২ মাস থাকতে পারবে। আবার টুরিস্ট ভিসায় কেউ ১ মাস বা কেউ ২ মাসের জন্য মেয়াদ দিয়ে বানায়। এতে খরচ কম বেশি হয়। ভিসার মেয়াদ যত বেশি দিবেন তার দাম তত বেশি হবে। যদি ১ মাসের জন্য ভিসা বানিয়ে থাকেন তাহলে ইতালিতে ১ মাস থাকতে পারবেন। এর বেশি হয়ে গেলে পুনরায় ভিসা বানাতে হবে। অন্যথায় সেই দেশের পুলিশে ধরবে। মার্কিন নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই পর্যটক বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে 90 দিনের জন্য ইতালিতে প্রবেশ করতে পারে।
ইতালি ভিসা আবেদন লিংক
এখন অনলাইনে ইতালির ভিসার আবেদন করা যায়। আবেদন করার জন্য ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে। এছাড়া বাংলাদেশেও একটি ভিসার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে। য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল দেশের ভিসা সংক্রান্ত কাজ করা হয়। https://www.estri.it/visti/home/eng.asp এটি হচ্ছে ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ভিসাত আবেদন করতে বা ভিসা সম্পর্কে জানতে এই ঠিকানা টি ব্যবহার করুন।
শেষ কথা
বিদেশ যাওয়ার জন্য জরুরি হচ্ছে ভিসা ও পাসপোর্ট। তাই কম দামে ভিসা পেলেই তা নেওয়া যাবে না। অনেকে এই জন্য প্রতারিত হয়। ভিসা বানানোর পড়ে এটি চেক করবেন। এখানে ইতালি ভিসার দাম কত টাকা ও ইতালি যেতে মোট কত টাকা লাগবে এই বিষয়ে বিস্তারিত শেয়ার করেছি। ইতালি টিকিটের দাম ও ভিসার মূল্য জেনে ভিসা এজেন্সি থেকে ভিসা তৈরি করে নিবেন।
আরও দেখুনঃ