সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা দাম ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্য সৌদি আরবে যায়। সেখানে নানা ধরনের কাজ পাওয়া যায়। সরকারি ও কোম্পানি ভাবে সৌদি আরবে ক্লিনারের কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। চাকরির জন্য আবেদন ও ভিসা বানিয়ে সেখানে যেতে হবে। সৌদি আরবে সহজ একটি কাজ হচ্ছে ক্লিনার। যেখানে বাসা বাড়ি, কোম্পানি, এয়ারপোর্ট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ দেওয়া হয়। আজকে সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা দাম, খরচ ও এই কাজের বেতন সম্পর্কে জানব। কিভাবে এই ভিসা পাবেন ও আবেদন করবেন তা জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট দেখুন।

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা

এখানে বেশ কয়েকটি কাজের ক্যাটাগরি আছে। এদের জন্য আলাদা আলাদা কাজ পাওয়া যায়। কাজের জন্য আবার বিভিন্ন রকমের ভিসা বানাতে হয়। এক এক ধরনের ভিসায় এক এক রকমের খরচ হয়। আপনার বাজেট যদি কম হয় তাহলে এই দেশে ক্লিনারের কাজের জন্য আসতে পারেন। কম খরচে এই ভিসা পাওয়া যায়। সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বানিয়ে এখানে বিভিন্ন স্থানে কাজ পাওয়া যাবে। কম্পানিগত ভাবে নিয়োগ দেওয়া হলে সি কোম্পানিতে যোগ দিতে পারবেন। আর যদি বাংলাদেশি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা নিতে হয় তাহলে তারা সেই স্থানের কাজ দিবে সেখানে কাজ করতে হবে।

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা দাম ২০২৪

অনেক সময় সরকারি ভাবে সৌদি আরবের ভিসা পাওয়া যায়। তখন ভিসার খরচ কিছুটা কম লাগে। আর যদি কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হয় তখন ভিসার দাম বেশি লাগে। সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা পাওয়া খুব সহজ। এই ভিসায় আবেদন করতে হবে। তাই আপনারা ভালো একটি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন। তাদের কাছে সৌদি আরব এর বিভিব্ব ধরনের ক্লিনার কাজ থাকে। তারা আপনাদে কে ভিসা বানিয়ে দিবে এবং সৌদি আরবে কাজের জন্য নিয়োগ করে দিবে। সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।

সৌদি আরব এয়ারপোর্ট ক্লিনার ভিসা

এখানকার বিভিন্ন এয়ারপোর্টে শ্রমিকের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। যাদের কে ক্লিনারের কাজের জন্য হায়ার করে। তবে সবাই এখানে চাকরি পাওয়া না। আবেদনের পর তারা ;ওল বাছাই করে চাকরি দিয়ে থাকে। কেননা এয়ারপোর্টে নানা ধরনের নিয়ম কানুন থাকে। যারা এই সকল কাজে কিছুটা অভিজ্ঞতা সম্পর্ন তারাই এখানে সিলেক্ট হয়। সৌদি এয়ারলাইন্স এর যেকোনো সেক্টরে কাজের জন্য নিয়োগ পেতে পারেন। সৌদি এয়ারপোর্ট ক্লিনার ভিসা পেতে ভিসা এজেন্সির সাথে কথা বলবেন। তারা আপনাকে ভিসা বানিয়ে দিবে। এই ভিসার দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নিবে। ভালো এজেন্সির মাধ্যমে বানাতে পারলে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ভিসা বানাতে পারবেন।

সৌদি হোম ক্লিনার ভিসা

এটিও এক ধরনের ক্লিনার ভিসা। যেখানে সৌদি আরবের বাসায় গিয়ে হাউস ক্লিনারের কাজ করতে হবে। সৌদিআরব হোম ক্লিনার ভিসা একই ভাবে পেতে পারবেন। যেকেউ এই ভিসায় কাজ করার জন্য অনুমতি পাবে। সৌদি হোম ক্লিনার ভিসা ৪ লাখ টাকা। অনেক সময় ৫ লাখ টাকা লাগে। কম খরচে যেতে চাইলে প্রথমে একটি ভালোমানের ভিসা এজেন্সি খুঁজে নিতে হবে।

হোম ক্লিনার ভিসা কোম্পানি

এটি হচ্ছে সৌদি আরবে হাউস ক্লিনিং বা যেকোনো ক্লিনারের সার্ভিস দেওয়া হয়। তাদের কোম্পানিতে এই কাজের জন্য শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়। এখানে ক্লিনারের কাজ করবেন তবে সেটা হবে কোম্পানির হয়ে। কম্পনই থেকে মাসে মাসে নির্ধারিত বেতন দিবে আপনাকে। অনেক সময় সৌদি আরবের ক্লিনার কোম্পানি গুলো কাজের জন্য নিয়োগ দেয়। সেখানে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এক একটি কোম্পানিতে ভিসা পেতে এক এক রকমের খরচ হয়। তবে ৪ থেকে ৫ লাখের মধ্যে যেকোনো ক্লিনার কোম্পানিতে চাকরি নিতে পারবেন।

সৌদি আরব ক্লিনার কাজের বেতন কত

এখানে এই কাজের জন্য মোটামটি ধরনের বেতন পাবেন। কোম্পানির সাথে ক্লিনারের কাজ করলে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। আর বাসা-বাড়ি, অফিস এই ধরনের কাজে আপনার কাজের উপর বেতন পাবেন। যত বেশি কাজ করতে পারবেন ততবেশি টাকা বেতন পাবেন। এয়ারপোর্টে ক্লিনারের কাজের বেতন ৪০ হাজারের মতো।

শেষ কথা

সৌদি কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ভিসা প্রদান করে। অনেক সময় যেকোনো ভিসায় গেলেও বাসাবাড়ি, মার্কেট বা অফিসের ক্লিনারের কাজ করা যায়। এই কাজের বেতন পাবেন ২৫ হাজার থেজে ৪০ হাজারের মধ্যে। যেতে মোট ৪ লাখের উপরে খরচ হবে। আসা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

সৌদি আরব ড্রাইভিং ভিসা দাম- আবেদনের নিয়ম ২০২৪

কানাডা কৃষি ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪