রজব মাসের ২৬ তারিখে শবে বরাত পালন করা হয়। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে বাংলাদেশে শবে মেরাজ পালন করা হয়। শবে মেরাজ এর রাতে আল্লায় তায়ালার রহমত লাভের জন্য সালাত পড়তে হয়। অর্থাৎ যেদিন এই দিন টি শুরু হয়, ঐ রাতে সালাত ও বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে ইবাদত করতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে শবে মেরাজ পালন করা হবে। শবে মেরাজের নামাজ কবে জেনে নেওয়া যাক।
শবে মেরাজের নামাজ
বিশ্ব মুসলিমদের জন্য প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। ফরজ নামাজ ব্যাতিত বছরের নির্ধারিত কিছু দিনে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমতের দিন থাকে। এই সময়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বান্দা পাপমুক্ত হয়। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে আরোহণ করেন।
তিনি আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। এই দিন উপলক্ষ্য প্রতি বছর রজব মাসের ২৬ তারিখে শবে বরাত পালন করা হয়। ২০২৪ সালে ৮ই ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ শুরু হবে। তাই শবে মেরাজের নামাজ ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার পড়তে হবে।
শবে মেরাজের নামাজ কবে ২০২৪
ইসলামী ধর্মগ্রন্থের বর্ণনা অনুসারে, নবী মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বছরের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন। এই ঘটনাটিকে শবে মেরাজ বা মেরাজের রাত বলা হয়। শবে মেরাজ মুসলমানদের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর পবিত্র বাড়ি কাবা শরীফ থেকে স্বর্গের সর্বোচ্চ স্তর সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ভ্রমণ করার সুযোগ দেন।
এই ভ্রমণের সময় তিনি আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান লাভ করেন।শবে মেরাজ উপলক্ষে মুসলমানরা বিভিন্ন ধরনের ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করে থাকেন। এই ইবাদত-বন্দেগিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল শবে মেরাজ এর সালাত। শবে মেরাজ এর সালাতএকটি সুন্নত নামাজ। এ নামাজে মোট ১২ রাকাত নামাজ পড়া হয়। প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ১০ বার সুরা ইখলাস পড়া হয়। ২০২৪ সালের শবে মেরাজের নামাজ ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে।
শবে মেরাজের নামাজের ফজিলত
এই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর পবিত্র বাড়ি কাবা শরীফ থেকে স্বর্গের সর্বোচ্চ স্তর সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ভ্রমণ করার সুযোগ দেন। সেখানে হযরত মুহাম্মদ (সাঁঃ) আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেন এরপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান লাভ করেন। শবে মেরাজ উপলক্ষে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়। ইবাদত-বন্দেগিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল শবে মেরাজের সালাত। এই নামাজ একটি সুন্নত নামাজ। এ নামাজে মোট ১২ রাকাত নামাজ পড়া হয়।
শবে মেরাজের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি শবে মেরাজ এর নামাজ পড়বে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং সে জান্নাতে যাবে। এছাড়াও, শবে মেরাজ এর সালাতের মাধ্যমে মুমিনের ঈমান বৃদ্ধি পায়, আধ্যাত্মিক উন্নতি হয় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। শবে মেরাজ এর নামাজ পড়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে, বেশিরভাগ মুসলমানরা রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতেই শবে মেরাজ এর নামাজ পড়েন।
শবে মেরাজ এর সালাতের ফজিলত নিয়ে হাদিসে কিছু উল্লেখযোগ্য বর্ণনা হল:
- হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি শবে মেরাজের রাতে ১২ রাকাত নামাজ পড়বে, প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ১০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জান্নাতে যাবে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মিত হবে।” (তিরমিজি, নাসায়ি)
- হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি শবে মেরাজের রাতে ১২ রাকাত নামাজ পড়বে, প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ১০ বার সুরা ইখলাস পড়বে, তার ঈমান বৃদ্ধি পাবে, তার আধ্যাত্মিক উন্নতি হবে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে।” (তিরমিজি)
শেষ কথা
শবে মেরাজের নামাজের জন্য আলাদা একটি নিয়ম আছে। ঐ নিয়ম অনুযায়ী এই রাতে সালাত আদায় করতে হবে। এছাড়া নামাজের জন্য নিয়ত পড়তে হবে। নামাজের নিয়ত ও নিয়ম নিচে দেওয়া থাকবে। শবে মেরাজের নামাজ কবে তা জেনে সালাত পড়তে হবে। যারা নামাজের রাত কবে জানে না, তাদের কে এই বিষয়ে জানিয়ে দিবেন।
আরও দেখুনঃ