শবে মেরাজের রোজা কয়টি

ইসলাম ধর্মমতে, লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত হল সেই রাত যে রাতে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লহের নির্দেশে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। মেরাজের ঘটনাটি ঘটেছিল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বৎসরের রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে। কিন্তু শবে মেরাজের রোজা কয়টি এই বিষয়ে কোণও তথ্য নেই।

বর্তমানে রোজা নিয়ে একটি প্রথা চালু হয়েছে। অনেকে শবে মেরাজের জন্য রোজা রাখে। সাধারণত রমজান মাসের রোজা সবর জন্য ফরজ করা হয়েছে। কিছু দিন ব্যাতিত সারা বছরও রোজা রাখা যাবে। তো জেনে নেওয়া যাক শবে মেরাজের রোজা কয়ট বা শবে মেরাজের রোজা রাখা যাবে কি? এই সম্পর্কে হাদিসে কি বলা হয়েছে।

শবে মেরাজের রোজা কয়টি

এই দিনটি মুসলিমদের জন্য পবিত্র। শবে মেরাজের প্রধান কাজ হছে যেকোনো ভাবে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করা। আর এই রাতে উত্তম কাজ হলো সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করা। ২ রাকাত করে সর্বনিম্ন ১২ রাকাত নামাজ আদায় করলেও হবে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ইসলামের সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের ইসলামিক সমাজে অনেক মিথ্যা হাদিসও ছড়িয়ে পরেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে আসল বা নকল কাজ ধরা সম্ভব হয় না।

শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪

যেমন শবে মেরাজের রোজা। অনেকে এই দিনে রোজার নিয়ত করে। তাই তারা শবে মেরাজ উপলক্ষ্য রোজা রাখে। কোরআন-হাদিসে শবে মেরাজের সময় রোজা রাখার কথা উল্লেখ নেই। অতিতেও আল্লাহর রাসুল ও তার অনুসারীরা শবে মেরাজের সময় রোজা রেখেছে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই বোঝাই যাচ্ছে শবে মেরাজের রোজা একটিও নেই। এই দিনে রোজা রাখা বা না রাখা একই। রোজা রাখলেও তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হয় না। এছাড়া কিছু কিছু হাদিস মতে শবে মেরাজ এর জন্য আলাদা কোনো নামাবের নিয়ম নেই। সাধারণ ভাবে নফল নামাজ পরেও শবে মেরাজ পালন করা যাবে।

শবে মেরাজের রোজা সম্পর্কে কিছু কথা

শবে মেরাজের রোজা কয়টি এই সম্পর্কে ইসলামী শরিয়তে কোনো সুনির্দিষ্ট বিধান নেই। তবে, প্রচলিত আছে যে, শবে মেরাজের রাতে রোজা রাখা অত্যন্ত পুণ্যময়। অনেকে শবে মেরাজের রাতে একটি মাত্র রোজা রাখেন। আবার, কেউ কেউ শবে মেরাজের আগের দিন অর্থাৎ ২৫ রজব এবং পরের দিন অর্থাৎ ২৭ রজব এই তিন দিন রোজা রাখেন।শবে মেরাজের রোজা রাখার পক্ষে হাদিসে কিছু বর্ণনা রয়েছে।

যেমন, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখ রোজা রাখবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে।” (তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং: ৭৩৮)

তবে, শবে মেরাজের রোজা রাখার পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট হাদিস না থাকায় অনেক আলেম এটিকে সুন্নত হিসেবে গণ্য করেন না। তারা বলেন, শবে মেরাজের রোজা রাখা মুস্তাহাব বা নফল।সুতরাং, শবে মেরাজের রোজা রাখার ব্যাপারে ব্যক্তির ইচ্ছা। কেউ চাইলে একটি মাত্র রোজা রাখতে পারেন, আবার কেউ চাইলে তিন দিন রোজা রাখতে পারেন।

শবে মেরাজের রোজা সম্পর্কে হাদিস

শবে মেরাজের রোজা সম্পর্কে হাদিস রয়েছে। তবে, এ হাদিসগুলোর সনদ সম্পর্কে কিছু মতভেদ রয়েছে। কিছু হাদিস বিশুদ্ধ হলেও, কিছু হাদিস দুর্বল। শবে মেরাজের রোজা সম্পর্কে বিশুদ্ধ হাদিস হলো:  হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখ রোজা রাখবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে।” (তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং: ৭৩৮) এই হাদিসে উল্লেখিত ২৭ রজব হলো শবে মেরাজের রাতের সম্ভাব্য তারিখ।

 দুর্বল হাদিস হলো:

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৫ তারিখ, ২৬ তারিখ এবং ২৭ তারিখ রোজা রাখবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে।” (আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং: ২৪৩০)
এই হাদিসে উল্লেখিত ২৫ রজব, ২৬ রজব এবং ২৭ রজব হলো শবে মেরাজের সম্ভাব্য তারিখ।

সুতরাং, শবে মেরাজের রোজা রাখার ব্যাপারে ব্যক্তির ইচ্ছা। কেউ চাইলে একটি মাত্র রোজা রাখতে পারেন, আবার কেউ চাইলে তিন দিন রোজা রাখতে পারেন। তবে, তিন দিন রোজা রাখার ক্ষেত্রে দুর্বল হাদিসের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।

শবে মেরাজের রোজা রাখা যাবে কি?

শবে মেরাজের রোজা রাখার ব্যাপারে ইসলামী শরিয়তে সুনির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই। তবে, প্রচলিত আছে যে, শবে মেরাজের রাতে রোজা রাখা অত্যন্ত পুণ্যময়। অনেকে শবে মেরাজের রাতে একটি মাত্র রোজা রাখেন। আবার, কেউ কেউ শবে মেরাজের আগের দিন অর্থাৎ ২৫ রজব এবং পরের দিন অর্থাৎ ২৭ রজব এই তিন দিন রোজা রাখেন।শবে মেরাজের রোজা রাখার পক্ষে হাদিসে কিছু বর্ণনা রয়েছে।

যেমন, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখ রোজা রাখবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে।” (তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং: ৭৩৮)তবে, শবে মেরাজের রোজা রাখার পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট হাদিস না থাকায় অনেক আলেম এটিকে সুন্নত হিসেবে গণ্য করেন না। তারা বলেন, শবে মেরাজের রোজা রাখা মুস্তাহাব বা নফল।

শবে মেরাজের রোজা রাখার পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট হাদিস না থাকায় এটিকে সুন্নত হিসেবে গণ্য করা হয় না। তাই, কেউ চাইলে এই রোজা রাখতে পারেন, আবার কেউ চাইলে নাও রাখতে পারেন। শবে মেরাজের রোজা রাখার ক্ষেত্রে দুর্বল হাদিসের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। শবে মেরাজের রোজা রাখার আগে অবশ্যই একজন আলেমকে জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে।

শেষ কথা

শবে মেরাজের রোজা রাখার ব্যাপারে ইসলামী শরিয়তে সুনির্দিষ্ট কোনো বিধান না থাকলেও, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম উৎসব। এই দিনে রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত একসাথে আদায় করতে পারি এবং আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় হতে পারি। শবে মেরাজ পালন করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই দিনে রোজা রাখা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি হাদিসের বাইরে। আশা করছি শবে মেরাজের রোজা কয়টি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

শবে মেরাজের নামাজ কবে ২০২৪

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম