বেশ কয়েকটি উপায়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। এর মাধ্যমের উপরে নির্ভর করে এখানে আসতে কত টাকা খরচ হবে। অনেক সময় ফ্রি ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়া যায়। শুধু বিমান ভাড়া প্রয়োজন হবে। এছাড়া সরকারি ভাবে এই দেশে কাজের জন্য আসতে কম খরচ হবে। সবচেয়ে বেশি খরচ হয় বেসরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া আসলে। এখানে আসার পূর্বে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগবে ও কেমন খরচ হতে পারে তা জেনে নিবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগবে
সরকারি, বেসরকারি ও লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে আসতে পারবেন। যার প্রতিটি সেক্টরে আলাদা আলাদা খরচ আছে। যদি চান কম খরচে এই দেশে আসবেন তাহলে সরকারি ভাবে আসতে হবে। আর যারা কোরিয়ার লটারি জিততে পারবে তারা বিনা খরচে ভ্রমণ বা চাকরির জন্য আসতে পারবে। সরকারি ভাবে এই দেশে আসতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগবে। সব সময় সরকারি ভিসা পাওয়া যায় না। বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে শ্রমিকের নিয়োগ দেয়।
বেসরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ভিসা সব সময় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের এজেন্সি গুলো থেকে এই ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। তাদের কাছে কাজের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা আছে। যাদের দাম ৭ লাখ থেকে ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত। যদি সাধারণ কৃষিকাজ বা শ্রমিকের কাজে সাউথ কোরিয়া আসেন তাহলে কম টাকা লাগবে। এখান কার কোম্পানিতে চাকরি কররার জন্য ভিসা বানাতে ১৫ লাখের মতো টাকা লাগে।
একদম ফ্রিতেও কোরিয়া ভিসা পাওয়া যায়। এটা মূলত লটারির মাধ্যমে পেতে হয়। বাংলাদেশ থেকে কোরিয়া লটারি ক্রয় করা যায়। অনেক সময় কোরিয়ার লটারি অনলাইনেও পাওয়া যায়। সেখানে লটারি ক্রয় করে ফ্রিতে কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ থাকে। আর পড়াশুনার জন্য এই দেশে আসতে কম টাকা লাগে। এজন্য স্কোলারশীপ বা স্টুডেন্ট ভিসা প্রয়োজন হবে। স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া যেতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগবে।
২০২৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগবে
কোরিয়া যাওয়ার খরচ কিছুটা কম বেশি হয়। অনেক সময় ডলারের রেট বেশি থাকে। তখন যেকোনো ভিসা বানাতে বা বিমানের টিকিট ক্রয় করতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি লাগে। ২০২৪ সালে ডলারের রেট এখনো অনেক বেশি আছে। যার কারণে বর্তমান সময়ে ভিসার দাম বেশি নেওয়া হয়। এছাড়া অনেক এজেন্সি আছে যারা সবার কাছে বিসার জন্য বেশি টাকা নেয়। সব মিলিয়ে এজেন্সির মাধ্যমে যেকোনো ভিসা বানাতে বেশি টাকা লাগে। এছাড়া আরও কিছু খরচ রয়েছে।
১। বোয়েসেলের এর খরচ ১ লাখ টাকা
২। সার্ভিস চার্জ ৪১১৭০ টাকা।
৩। বিমানের টিকিটের দাম বা ভাড়া ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজারের উপরে।
৪। মেডিকেল টেস্ট মোট খরচঃ ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে।
৫। পাসপোর্টঃ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
ভিসা | কত টাকা লাগবে |
সরকারি ভিসা | ৪ থেকে ৫ লাখ |
বেসরকারি ভিসা | ৮ থেকে ১৫ লাখ |
কোম্পানি ভিসা | ৭ থেকে ১২ লাখ |
স্টুডেন্ট ভিসা | ৪ লাখ |
লটারির ভিস | ফ্রি |
টুরিস্ট ভিসা | ৮ থেকে ১০ লাখ |
শেষ কথা
বাংলাদেশে থেকে কোরিয়া যেতে ভিসার ধরনের উপরে কত টাকা লাগতে পারে তা উপরের তালিকা থেকে জানতে পারবেন। মূল কথা হচ্ছে যত ভালো ভিসায় কোরিয়া যাবে তার জন্য বেশি টাকা লাগবে। আশা করছি দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই রকম আরও পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকুন।
আরও দেখুনঃ