কম খরচে সরকারি ও লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। তবে এই ভিসা গুলো সব সময় পাওয়া যায় না। এছাড়া সরকারি ভিসার মাধ্যমে নিজের পছন্দ মতো কাজ পাওয়া যাবে না। এজন্য বাংলাদেশের অধিক প্রবাসী বেসরকারি উপায়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঐ দেশে বেসরকারি ভাবে যাওয়ার প্রথম ইয়পায় হচ্ছে লিগ্যাল ও ভ্যালিড ভিসার মাধ্যমে যাওয়া।
জব ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা বানিয়ে কাজ ও ভ্রমণের জন্য এই দেশে যাওয়া যাবে। বেসরকারি উপায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন কাজের ভিসা আছে। বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় হচ্ছে যেকোনো এক ধরনের ভিসা বানিয়ে নিন। এরপর ঐ ভিসার মাধ্যমে কাজের উদ্দেশ্য যেকোনো কোম্পানিতে জয়েন করুন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ভিসা এজেন্সি থেকে এই ভিসা গুলো বানানে পারবেন।
বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশে অনেকে কোরিয়া থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নেওয়া হয়। ঐ গুলোকে সরকারি ভিসা বলে। কেননা এই ধরনের ভিসায় যেতে খুব কম টাকা লাগে। তবে সরকারের মাধ্যমে যে সব ভিসা দেওয়া হয় তার সংখ্যা খুব কম। এজন্য দেশের বেশিরভাগ মানুষকে কোম্পানি বা বেসরকারি ভিসা বানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হচ্ছে। এই উপায়ে ভিসার দাম বেশি হলেও পছন্দ মতো ভিসা বানিয়ে সেই কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকে। এই ভিসা বানানোর পূর্বে বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
সাধারণত ৪ টি ৪ ক্যাটাগরির ভিসার মাধ্যমে বেসরকারি মাধ্যমে সাউথ করিয়ায়তে আসতে হবে। টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, মেডিকেল ভিসা এবং বিজনেস ও জব ভিসা। জব ভিসার মধ্যে অনেক ক্যাটাগরি আছে। কাজের জন্য সাউথ কোরিয়াতে আসতে হলে অবশ্যই যেকোনো একটি কাজের ভিসা বানিয়ে নিবেন। যার খরচ কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে ৮ থেকে ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত।
বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া কাজ পাওয়ার উপায়
শুধু যে সরকারি ভিসায় কাজ পাওয়া যায় এমন নয়। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বেসরকারি ভিসায় কাজ দেওয়া হচ্ছে। কেননা সরকারি ভাবে খুব কম পরিমাণে ভিসা দেওয়া হয়। আর বেসরকারি ভাবে প্রতি বছর অধিক পরিমাণে ভিসা পাওয়া যায়। যার কারণে বেসরকারি ভিসার চাহিদা অনেক বেশি। এই পদ্ধতিতে ভিসা পেতে বাংলাদেশি ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
তাদের কাছে সাউথ কোরিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির কাজের ভিসার নিয়োগ পাওয়া যাবে। এছাড়া ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা ঐ এজেন্সি গুলো থেকেই বানাতে পারবেন। নিচে কয়েকটি কাজের ভিসার নাম দেওয়া আছে। এই ভিসার মাধ্যমে বেসরকারি ভাবে সাউথ কোরিয়া যাওয়া যাবে এবং সেখানে কাজ করা যাবে।
- টুরিস্ট ভিসা (শুধু ভ্রমণের জন্য)
- স্টুডেন্ট ভিসা (পড়াশুনার জন্য)
- কোম্পানি ভিসা
- ক্লিনার ভিসা
- জব ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- কৃষি ভিসা
- রেস্টুরেন্ট ভিসা
- শ্রমিক ভিসা
কম খরচে বেসরকারিভাবে সাউথ কোরিয়া যাওয়ার উপায়
অল্প খরচের মধ্যে এই দেশে কাজের জন্য আশা যাবে। তবে ঐ কাজের মান কম হলেও বেতনের পরিমাণ অনেক বেশি। এজন্য আপনাদের কৃষি ভিসা, ক্লিনার ভিসা ও রেস্টুরেন্ট ভিসা বানাতে হবে। সাধারণত এই ভিসা গুলোর দাম অন্যান্য ভিসার থেকে একটু কম। কৃষি ভিসা বানিয়ে ফার্মের কাজ, ফুল ও ফলের বাগানের কাজ, জমিতে চাষাবাদের কাজ করা যাবে।
রেস্টুরেন্ট এ ওয়েটার, শ্রমিক ও ক্লিনারের কাজ করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন অফিস, বাসা বাড়ি ও অন্যান্য স্থানের ক্লিনারের কাজ পাওয়া যায়। কোম্পানির হয়ে ছোট ছোট কাজ গুলোও কম দামের ভিসার করা যাবে। তো কম খরচে বেসরকারিভাবে সাউথ কোরিয়া পেতে উক্ত ভিসায় আবেদন করতে পারেন।
বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
এটা সম্পূর্ণ একটা আলাদা বিষয়ে। কেননা অনেক ধরনের ভিসার মাধ্যমে সাউথ কোরিয়াতে কাজের জন্য আসতে পারবেন। প্রতি ভিসার ধরন ও ভিসা এজেন্সির উপর ভিসার দাম ও খরচ নির্ভর করে। সাধারণত এই দেশের ভিসা বানাতে ৮ থেকে ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়। এছাড়া আরও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। যত উন্নত ভিসায় কাজ করতে চাইবেন এর খরচ তত বেশি হবে।
শেষ কথা
কাজ ছাড়াও ভ্রমণের জন্য এই দেশে আশা যাবে। টুরিস্ট দের জন্যও বেসরকারি পর্যটক ভিসা পাওয়া যায়। এই ভিসার খরচ ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা হবে। উপরের দেওয়া ভিসা গুলোর মাধ্যমে খুব সহজে বেসরকারি ভাবে সাউথ কোরিয়াতে আসতে পারবেন। বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় গুলো জেনে যেকোনো ভিসার আবেদন করতে পারেন।
আরও দেখুনঃ
লটারি ছাড়া কোরিয়া যাওয়ার উপায় ২০২৪