বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাজের স্থান হচ্ছে সৌদি আরব। এশিয়া মহাদেশের এই দেশ টি অর্থনইতিক দিক দিয়ে অনেক উন্নত। যার কারণে প্রতি বছর শ্রমিকের জন্য বিভিন্ন দেশের ভিসার নিয়োগ দেয়। সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কাজ করতে সৌদি আরবে আসা যায়। এজন্য প্রয়োজন ভ্যালিড ভিসা। ভিসা বানাতে ভিসা সংস্থা বা এজেন্সির কাছে আবেদন করতে হবে। এখন কাজে আসতে সৌদি আরবের ভিসার দাম কত তা মূল বিষয়।
বছরের পর পর বছর ভিসার দাম বাড়ছে। আগে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাগতো। বর্তমানে আরও প্রায় ২ লাখের বেশি টাকা লাগবে। সৌদি আরব এর ভিসা পেতে কাজের দক্ষতা, সঠিক পাসপোর্ট, বিভিন্ন ডকুমেন্ট লাগবে। এই দেশের কাজের জন্য অনেক ধরনের ভিসা আছে। যাদের দাম ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। সকল ভিসার দাম বিস্তারিত এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন।
সৌদি আরবের ভিসার দাম কত
কাজ, ভ্রমণ বা হজ্ব করার জন্য সৌদি আরবের ভিসা বানাও হয়। এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা ও মেডিকেল ভিসাও চালু আছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কাজ ও ভ্রমণের জন্য সৌদি আরবে আস। এই ভিসা গুলোর ধরনের উপর ভিসার দাম নির্ভর করে। সৌদি আরবে অনেক ক্যাটাগরির কাজের ভিসা আছে। সৌদি আরবের ভিসার দাম ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। সৌদি আরবে হজ্ব করার জন্য আলাদা ক্যাটাগরির ভিসা আছে। এই ভিসার দাম অনেক কম। তবে টাকার রেট অনুযায়ী ২০২৪ সালে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগে হজ্ব করার জন্য ভিসা বানাতে।
সৌদি আরবের ভিসার দাম কত ২০২৪
২০২৪ সালে কাজ, ভ্রমণ ও ওয়ান ক্যাটাগরির ভিসার দাম বেড়েছে। এখন আগের থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা বেশি লাগে সৌদি আরব এর ভিসা পেতে। বর্তমানে এমন অনেক এজেস্নসি আছে, যাদের কাছে থেকে সৌদি আরবের ভিসার দাম ৬-৭ লাখ টাকা। এজন্য ভালো কোনো এজস্নির মাধ্যমে ভিসা বানাতে হবে। সাধারণ ভাবে এই বছরে সৌদি আরবের ভিসা মূল্য ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত।
সৌদি আরবের কাজের ভিসার দাম কত
এই দেশে অনেক ধরনের কাজ আছে। আর এই সকল কাজের উপর বিভিন্ন ভিসার পারমিশন দেওয়া আছে। তো যে কাজ করতে সৌদি আরবে আসতে চাচ্ছেন, তার ক্যাটাগরির উপর ভিসা বানাবেন। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্লিনার, কোম্পানি, ড্রাইভার, ফার্ম, বাগান, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি কাজের জন্য আলাদা আলাদা ভিসা দেওয়া হয়। এই ভিসার ভিত্তিতে সৌদি আরবের কাজের ভিসার দাম ৬ লাখ টাকা।
- কোম্পানি ভিসার দাম ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা
- রেস্টুরেন্ট ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা
- হোটেল ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা
- ড্রাইভিং ভিসার দাম ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা
- ক্লিনার ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা
- এগ্রিকালচার ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা
- শ্রমিক ভিসার দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা
- ফ্যাক্টরির কাজের ভিসার দাম ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা
সৌদি আরবের টুরিস্ট ভিসার দাম কত
যখন কোনো দেশে ভ্রমণের জন্য যেতে হয়, তখন টুরিস্ট ভিসা বানাতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো ভিসায় ঐ দেশে যাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি থেকে সৌদি আরবের টুরিস্ট ভিসা বানাতে পারবেন। সৌদি আরবের টুরিস্ট ভিসার দাম লাখ টাকা। প্রতিজনের জন্য একটি করে ভিসা বানাতে হয়। ভ্রমণের সময়ের উপর নির্ভর করে টুরিস্ট ভিসার দাম কম বেশি হবে।
সৌদি আরবের হজ্ব করার ভিসার দাম কত
হজ্ব কররা জন্য আলাদা এক ধরনের ভিসা আছে। যার নাম ওমরাহ ভিসা। আগে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায় ভিসা বানিয়ে হজ্বে যাওয়া যেতো। ভর্তমান সময় সৌদি আরবের হজ্ব করার বা ওমরাহ ভিসার দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। আরও সকল খরচ মিলিয়ে এই ভিসায় সৌদি যেতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হবে।
সৌদি আরবের সরকারি ভিসার দাম কত
সৌদি আরবের দ্রুতাবাস থেকে বাংলাদেশের সরকারের কাছে সৌদি ভিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। যা বাংলাদেশে বোয়েসেল এ নোটিশ প্রদান করে। তবে সরকারি ভিসা সব সময় পাওয়া যায় না। এর কারণ সব সময় সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের কাজের নিয়োগ দেওয় না। ৌদি আরবের সরকারি ভিসার দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। অনেক সময় এর থেকেও কম টাকা লাগে। সরকারি ভিসায় যেতে কোম্পানি থেকে প্রদত্ত কাজের নিয়ম ও যোগ্যতা মেনে আবেদন করতে হবে।
শেষ কথা
ভিসা এজেন্সি বা সংস্থার উপর অনেকটা এর দাম নির্ভর করে। সাধারণ ভাবে এখন সৌদি আরবের ভিসার দাম ৫০০০০০ থেকে ৬০০০০০ টাকা। যেকোনো এজেন্সি থেকে ভিসা বানানোর পূর্বে ধারনাস্বরূপ দাম ও খরচ সম্পর্কে জেনে নিবেন। এখানে সৌদির সকল ভিসার মূল্য বিস্তারিত শেয়ার করেছি। ভিসা সংক্রান্ত আরও তথ্য জানতে আমার সাথেই থাকুন।
আরও দেখুনঃ