দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪

মধ্যে প্রাচের একটি দেশ হচ্ছে আরব আমিরাত। আর এই দেশের বিখ্যাত একটি শহর দুবাই। যেখানে রয়েছে শত শত কাজ। প্রবাসীদের কাছে কাজের জন্য দুবাই অন্যতম। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রবাসী এখানে কাজ করতে আসে। দুবাইয়ে কাজের জন্য অনেক ভিসা আছে। প্রতি ভিসার দাম, খরচ ও বেতন ভিন্ন রকমের। সহজ কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে হোটেলের কাজ।

সবাই হোটেলের কাজ করতে আগ্রহী। যার কারণে একটি প্রশ্ন থাকে, দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত টাকা। চাকরির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভালো মানের বেতন পাওয়া। তাই তো বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যাওয়া হয় বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য। এই শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় হোটেল আছে। কিছু হোটেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করা হয়। বেতন ও ৫০ হাজারের উপরে।

দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত

কাজ বা ভ্রমণ এর উদ্দেশ্য সবাই দুবাই আসে। যারা এখানে ভ্রমণ করে তারা হোটেল গুলোতে থাকার জন্য হোটেল রুম ভাড়া নেয়। অনেক হোটেল প্যাকেজ এর মাধ্যমে টুরিস্টদের সার্ভিস প্রদান করে। যার জন্য হোটেলে শিক্ষিত ব্যাক্তিদের কাজের জন্য নিয়োগ দেয়। হোটেল কোম্পানিতে চাকরির জন্য ইংরেজি ভাষা জানা থাকলে ভালো হবে। কেননা এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে টুরিস্ট আসে।

তাদের সার্ভিস প্রদানের জন্য ইংরেজি ভাষা জানা প্রয়োজন। হোটেল এর জন্য অনেক গুলো কাজের ক্যাটাগরি আছে। প্রতিটি পদে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মচারি নেওয়া হয়। কাজের ধরন ও হোটেল এর মানের উপরে বেতন নির্ধারন করা হয়। উন্নত হোটেলে কর্মচারির বেতন ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর সাধারণ মানের হোটেলে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

দুবাই হোটেলে কি কি কাজ করতে হয়

এই দেশে অনেক ধরনের হোটেল আছে। কিছু হোটেল শুধুমাত্র থাকার জন্য রুম ভাড়া দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়া টুরিস্টদের আলাদা ভাবে বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে হবে। এ সব হোটেলে কাজের ক্যাটাগরি তেমন নেই। তবে ক্লিনারের কজ ও রুম সার্ভিসের জন্য লোক নেওয়া হয়। আর হোটেল ম্যানেজমেন্ট বে ম্যানেজার কে নিয়োগ দেয়।

এখানে অনেক উন্নত হোটেল আছে। যারা প্যাকেজ আকারে টুরিস্টদের কে হোটেল রুম ভাড়া দেয়। থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে আরও অনেক সার্ভিস প্রদান করে। তখন ওয়েটার, ক্লিনার, রাঁধুনি ও রুম সার্ভিসের জন্য আলাদা আলাদা পদের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। দুবাই হোটেলে ক্লিনারের কাজ, রাঁধুনির বা শেফ এর কাজ, রুম সার্ভিসের কাজ করতে পারবেন।

দুবাই হোটেলে কাজের বেতন কত

হোটেলের প্রতি পদের চাকরি জন্য আলাদা বেতন দেওয়া হয়। যারা এখানে ক্লিনারের কাজ করে তাদের মাসিক বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। হোটেল সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট এর ওয়েটারের বেতন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া তারা টুরিস্টদের কাছে বোনাস পায়। হোটেলের রাঁধুনির বেতন ৭০ থেকে ১ লাখ টাকা। রান্নার দিকে যে বেশি দক্ষ তার বেতন তত বেশি। অনেক হোটেলে রাঁধুনির কাজের জন্য ১ লাখের উপরেও বেতন দেওয়া হয়। রুম সার্ভিসের শ্রমিকের জন্য মাসিক বেতন ৪০ হাজারের উপরে।

দুবাই হোটেল ভিসায় কাজে যেতে কত টাকা লাগবে

বেতন জানার পাশা-পাশি জানতে হবে এই কাজে দুবাই আসতে কত টাকা খরচ হয়। হোটেলের কাজে দুবাই আসতে হোটেল বিসা বা কোম্পানি ভিসা বানাতে পারেন। বাংলাদেশি এজেন্সির মাধ্যমে হোটেলের ভিসা বানাতে পারবেন। দুবাইয়ের হোটেল ভিসা বানাতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগে। পাসপোর্ট এর জন্য ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আরও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা লাগবে। এছাড়া বিমান ভাড়া বা টিকিট বুকিং এর জন্য আলাদা খরচ আছে। ঢাকা থেকে দুবাইয়ের সর্বনিম্ন বিমান ভাড়া ৫৫ হাজার টাকা। সকল খরচ মিলিয়ে দুবাই হোটেল ভিসায় কাজে যেতে ৮ লাখ বা এর থেকে বেশি লাগতে পারে।

শেষ কথা

এই দেশে আসার পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিছু হোটেল কোম্পানিতে চাকরির জন্য ইংরেজি ভাষা বা শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে। তাই ইংরেজি ভাষা ও দিবাই ভাষা শিখে আসার চেষ্টা করবেন। আশা করছি দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত টাকা তা জানতে পেরেছেন। এই রকম আরও পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকুন।

আরও দেখুনঃ

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা