দুবাই ভিসা দাম কত ২০২৪

ভ্রমণ, কাজ বা বিজনেস এর জন্য বাংলাদেশে দুবাই ভিসা চালু আছে। বাংলাদেশ এজন্সি থেকে দুবাইয়ের সব ধরনের ভিসা বানানো যায়। এছাড়া প্রতি বছর বোয়েসেল এ দুবাই সরকার ভিসার নিয়োগ দেয়। সেই নিয়োগে আবেদনের মাধ্যমে কম খরচে কাজের ভিসা বানানো যাবে। ফ্রিতে লটারি জিতার মাধ্যমেও এই দেশের ভিসা পাওয়া সম্ভব। দুবাই এ স্টুডেন্ট ভিসাও দেওয়া হয়।

প্রতি ভিসার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ হবে। তবে ভিসার ধরন অনুযায়ী খরচ কম বেশি হতে পারে। সাধারণত দুবাইয়ের যেকোনো ভিসা পেতে ৫ লাখের উপরে টাকা লাগে। আজকে দুবাই ভিসা দাম কত, পাসপোর্ট করতে কত খরচ হবে। দুবাইয়ের টিকিট বা বিমান ভাড়ার দাম ইত্যাদি তথ্য বিস্তারিত শেয়ার করেছি।

দুবাই ভিসা দাম কত

সাধারণত ৪ টি ভিসার যেকোনো ভিসায় দুবাই যেতে হয়। তাছাড়া কাজের জন্য দুবাই আসতে অনেক গুলো ভিসা আছে। শ্রমিক ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, লেভার ভিসা, কোম্পানি ভিসা, হোটেল ভিসা, রেস্টুরেন্ট ভিসা ইত্যাদি। সব ভিসার দাম ও খরচ এক এক রকমের। দুবাই সর্বনিম্ন ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা। আর সর্বচ্চ ভিসার মূল্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। তবে সরকারি ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসায় দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। সরকারি ভিসা সীমিত তাই সব সময় পাওয়া যায় না। আর দুবাইয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় তেমন লোক আসে না। দুবাই মূলত কাজের জন্য প্রবাসীরা আসে। সব খরচ মিলিয়ে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ হয় দুবাই আসতে।

দুবাই টুরিস্ট ভিসা দাম কত

মধেপ্রাচের  দেশ আরব আমিরাত। আর দুবাই হচ্ছে এর একটি শহর। তবে দুবাইকে সবাই আলাদা দেশ নামে জেনেছে। দুবাই আসতে হলে বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাতের টুরিস্ট ভিসা বানাতে হবে। টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ আরব আমিরাতে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু কোনো প্রকার কাজে যুক্ত হওয়া যাবে না। টুরিস্ট ভিসা বানাতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাগে। আর এই ভিসার দাম ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভর করে।

দুবাই রেস্টুরেন্ট ভিসার দাম

এই দেশের রেস্টুরেন্ট তে কয়েক পদের চাকরি আছে। ওয়েটার, ক্লিনার, রাঁধুনি ইত্যাদি। তবে ভিসার দাম একই। কাজের দক্ষতা অনুযায়ী পদ সিলেক্ট করে দেওয়া হবে। দুবাই রেস্টুরেন্ট ভিসার দাম ৫ থেকে৬ লাখ টাকা। সাধারণ যেকোনো রেস্টুরেন্ট এ চাকরি পাওয়া খুব সহজ। তবে বড় রেস্টুরেন্ট গুলোতে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী যাচাই করে চাকরি দেওয়া হয়। আর রাঁধুনিদের অবশ্যই অভিজ্ঞতা সম্পর্ন হতে হবে। তাই রেস্টুরেন্ট এর কাজে আসার পূর্বে ইংরেজি ভাষা শিখে আসার চেষ্টা করবেন।

দুবাই হোটেল ভিসার দাম কত

পর্যটক দের জন্য এখানে শত শত হোটেল আছে। সাধারণ মানের ও বা বড় ধরনের হোটেলে কাজের জন্য লোক নেওয়া হয়। হোটেলেও ক্লিনারের কাজ ও রুম সার্ভিসের কাজ করতে হবে। আর কিছু হোটেলে ওয়েটার, রাঁধুনির কাজ ও করতে হয়। যে হোটেল গুলোতে প্যাকেজ আকারে থাকার ব্যবস্থা আছে সেখানে রেস্টুরেন্ট এর কাজও করতে হবে। দুবাই হোটেল ভিসার দাম ৬ লাখ টাকা।

দুবাই কোম্পানি ভিসার দাম ২০২৪

দুবাইয়ে অনেক ধরনের কোম্পানি আছে। ছোট কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। বড় কোম্পানিতে সবাইকে চাকরি দেওয়া হয় না। অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যাক্তিদের সিলেক্ট করে দুবাইয়ের বড় কোম্পানিতে চাকরটি দেওয়া হোপয়। যার ফলর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচা করা হবে। দুবাই কোম্পানি ভিসার দাম ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা।

দুবাই কাজের ভিসার দাম

দুবাইয়ে অনেক অনেক কাজ পাওয়া যায়। এই সকল কাজের জন্য বেশি অভিজ্ঞতা লাগে না। কাজ গুলো হচ্ছে লেভার, শ্রমিক, ফ্যাক্টরি ইত্যাদির কাজ। এই সকল স্থানে শ্রমিক হিসেবে যুক্ত হওয়া লাগবে। মাসিক বেতন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এই সকল কাজের ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা।

দুবাই সরকারি ভিসা দাম কত

বাংলাদেশ বোয়েসেল এর মাধ্যমে যত গুলো ভিসা দেওয়া হয় সেগুলো হচ্ছে সরকারি ভিসা। প্রতি বছর নির্দিষ্ট কিছু লোকের জন্য দুবাই থেকে ভিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। বোয়েসেল অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যাক্তিদের কম খরচে দুবাই কাজের ভিসা বানিয়ে দেয়। দুবাই সরকারি ভিসা দাম ৪ লাখ টাকা।

শেষ কথা

ভিসার দাম অনেক সময় পরিবর্তিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ভিসা কোম্পানি গুলো এক এক দামে ভিসা বানিয়ে দেয়। তাই ভালো একটি এজেন্সি থেকে ভিসা বানানোর চেষ্টা করবেন। আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভাললেগেছে এবং দুবাই ভিসা দাম কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বিভিন্ন ভিসার দাম সম্পর্কে জানতে আমার সাথেই থাকুন।

আরও দেখুনঃ

দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি