দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা

প্রথমে জানতে হবে দুবাই কোম্পানিতে কি কি কাজ রয়েছে। কাজের ধরন ও কোম্পানির উপর ইনকাম নির্ধারন করে। ছোট কোম্পানি থেকে বড় ধরনের কোম্পানি আছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও দুবাই ভাষা জানা থাকলে কোম্পানির বড় পদে চাকরি হবে। আর সাধারণ মানের কাজের জন্য অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।  কাজ করতে আসার আগে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা তা জেনেও নিবেন।

হেল্পার, লেভার, ক্লিনার বা শ্রমিকের কাজ কোম্পানির ভিত্তিতেও করা যায়। এই দেশের জনপ্রিয় হচ্ছে হোটেল, ড্রাইভিং ও রেস্টুরেন্ট কোম্পানি। দিবাইকে একজন শ্রমিকের সাধারণ বেতন ৫০ হাজারের উপরে। এখানে থাকা হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এ জন করে মিনিমাম ৬০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যাবে। আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন নিচের অংশ থেকে।

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত

মধ্যপ্রাচের একটি দেশ হচ্ছে দুবাই। বলতে গেলে এটি একটি মুসলিম দেশ। মুসলিম বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম শীর্ষ দেশ। এই দেশের উন্নতির পিছনে কাজ করতেছে খনিজ তেল। তেল শিল্পের কারণে এখানকার অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং জীবনযাত্রার মান বিশ্বের সর্বোচ্চগুলির একটি। তাই প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন কোম্পানির বা যেকোনো কাজে শ্রমিকের প্রয়োজন হলে বিভিন্ন দেশে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সাধারণ মানের দেশ গুলো থেকে অনেক প্রবাসী দুবাইয়ে চাকরির জন্য ভিসার আবেদন করতে। সম্পৃক্ত বাংলাদেশ থেকেও অনেক প্রবাসী উন্নত মানের বেতনের জন্য দুবাই আসে। সাধারণ যেকোনো কাজ করে দুবাইয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যায়। আর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বড় কোম্পানিতে কাজের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যায়।

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা ২০২৪

বিদেশে কাজের জন্য আসতে চাইলে সবার একটি প্রশ্ন সেখানে কত টাকা ইনকাম করা যাবে। তবে বেতনের কথা চিন্তা না করে কাজের অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশে আপনার অভিজ্ঞতা লাগাতে না পারলেও, বিদেশে কাজে লাগাতে পারবেন। তাই যত সম্ভব দুবাই আসার পূর্বে যেকোনো কাজের উপরে পুর্ন অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করতে হবে। কেননা অভিজ্ঞতা ছাড়া দুবাইয়ে কোনো কাজ পাওয়া যাবে না। কোম্পানির ধরনের উপর ভিত্তি করে এই দেশের সকল কোম্পানি তাদের কর্মিদের মাসিক বেতন প্রদান করে।

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খুব কম সংখাক কোম্পানিতে ১ লাখের উপরে বেতন দেওয়া হয়। সেখানে চাকরি করতে অনেক দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে। তাই সবাই ঐ সকল কাজের জন্য আবেদন করতে পারে না।

দুবাই ইলেকট্রিশিয়ান কোম্পানির কাজের বেতন

এই দেশে ইলেকট্রিশিয়ান দের চাহিদা অনেক ব্যাপক। তাই এই কাজে যদি পুর্ন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ভিসার আবেদন করতে পারেন। কোম্পানি ব্যাতিত নিজগত ভাবেও বিভিন্ন সময় ইলেকট্রিশিয়ান এর সার্ভিস দিতে পারবেন। যার ফলে মাসে ৫০ হাজারের মতো ইনকাম করা যাবে। এছাড়া দুবাই ইলেকট্রিশিয়ান কোম্পানির কাজের বেতন ৭০ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত। কোম্পানিতে চাকরি পেতে অনেক দক্ষতা থাকতে হবে।

দুবাই ড্রাইভিং কোম্পানির বেতন কত টাকা

ড্রাইভিং এর জন্য অনেক গুলো কোম্পানি আছে। এই দেশে ড্রাইভিং এর কাজে কোনো ঝুঁকি নেই। বাংলাদেশের ড্রাইভিং এর অভিজ্ঞতা, লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ব্যাক্তিগত ভাবে গাড়ি বাড়া নিয়ে এখানে ড্রাইভিং করে উপার্জন করা যাবে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে ড্রাইভার বা বাসা বাড়ির ড্রাইভার পদে চাকরি করা যাবে। দুবাই ড্রাইভিং কোম্পানির বেতন ৫০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

দুবাই হোটেল কোম্পানিতে চাকরির বেতন

দুবাইয়ের বিভিন্ন হোটেলে বিভিন্ন পদে চাকরি করা যায়। অনেক হোটেলে চাকরির জন্য ঐ দেশের ভাষা বা ইংরেজি জানা থাকা লাগে। কারণে দুবাইয়ে বেড়াতে আসা টুরিস্ট হোটেল গুলোতে অবস্থান করে। তাদের বিভিন্ন কাজে সাহা করা বা হোটেল সার্ভিসের জন্য ইংরেজি ভাষায় কথা বলা লাগে। যার কারণে কিছু হোটেলে চাকরির জন্য ইংরেজি ভাষা জানা থাকতে হয়। দুবাই হোটেল কোম্পানিতে চাকরির বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

দুবাই রেস্টুরেন্ট কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা

এই দেশে রেস্টুরেন্ট এ রাঁধুনি, ম্যানেজার বা ওয়েটার পদেও কাজ করা যায়। ভালো মানের রেস্টুরেন্ট এ সকল পদেই ৬০ হাজারের উপরে বেতন দেওয়া হয়। এখানে থাকা ওয়েটারের বেতন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া তারা বোনাস হিসেবে ৯০ হাজারের মতো মাসিক বেতন পায়। রাঁধুনিদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ৭০ থেকে ১ লাখ টাকা বেতন দেওয়া হয়।

দুবাই শ্রমিকের বেতন কত

দুবাইয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের জন্য শ্রমিক নেওয়া হয়। লেভার, ফ্যাক্টরি, মিস্ত্রি ইত্যাদি। এই সকল কাজের উপর নির্ভর করে দুবাই শ্রমিকের বেতন ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া কোম্পানি ছাড়াও একাকী শ্রমিকের বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। তখন আপনার কাজের উপর বেতন নির্ভর করবে।

শেষ কথা

দুবাইয়ে সাধারণ মানের কাজ করেও ৪০ হাজারের উপর বেতন পাওয়া সম্বভ। আর যাদের কাজের অভিজ্ঞতা বেশি তারা ভালো মানের কাজ করে ৬অ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন পায়। দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা তা জেনে ও কাজ শিখে এই দেশে আসতে হবে। অনস্থায় ভালো বেতন বা চাকরি নাও পেতে পারেন।

শেষ কথা

কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কত টাকা

অস্ট্রেলিয়া লেবার ভিসা দাম ২০২৪