কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কত টাকা

এই দেশে অনেক রকমের কাজ পাওয়া যায়। শ্রমিকদের জন্য এখানে শত শত কাজ আছে। তারা কোম্পানিতে, বাসা বাড়িতে, ফ্যাক্টরিতে ও আরও অন্যান্য সেক্টরে কাজ করতে পারে। কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে শ্রমিকদের কে বেতন দেওয়া হয়। যে বেশি কাজ করতে পারে তার বেতন বেশি হয়। শ্রমিক হিসেবে হোটেলে, রেস্টুরেন্টে কাজের সুযোগ আছে। শ্রমিক ভিসা বানিয়ে কুয়েতে এসে শ্রমিকের বা কোম্পানির কাজ করতে পারবেন। আজকে কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কত টাকা ও এই ভিসার দাম কত তা জানবো।

কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কত টাকা

বাংলাদেশের তুলনায় কুয়েতে যেকোনো কাজের বেতন অনেক বেশি। একজন শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে ১২০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে। আর কোম্পানিতে যারা চাকরি করে তাদের  বেতন ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু কুয়েতে সাধারণ একজন শ্রমিকের বেতন ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। কাজের ধরনের উপরের এই বেতন গুলো নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। এখানে বিভিন্ন কোম্পানিতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। ভালোমানের কোম্পানিতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন দেয়,। তাদের কে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সিলেক্ট করা হয়।

কুয়েতে কোম্পানির শ্রমিকদের বেতন

এখানে ছোট বড় অনেক কোম্পানি আছে। বড় কোম্পানি গুলোতে চাকরি করতে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্য ছোট কোম্পানি গুলোতে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কুয়েতে কোম্পানির শ্রমিকদের বেতন ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার পর্যন্ত হয়। কাজের ধরনের উপর তাদের বেতন বৃদ্ধি পায়। এখানে বড় কোম্পানি গুলোতে ৮০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। সবাই বড় কোম্পানিতে চাকরি করার সুযোগ পায় না।

কুয়েতে হোটেল শ্রমকের বেতন কত

কুয়েতের সকল হোটেলের জন্য শ্রমিক নেওয়া হয় । যাদের কে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে দেয়। রুম সার্ভিস, ক্লিনিং ও অন্যান্য কাজের জন্য হোটেলে চাকরি নিতে পারেন। কুয়েতে হোটেল শ্রমকের বেতন ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। হোটেল শ্রমিকের অন্যান্য পদে ৫০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। ক্লিনারের কাজে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা বেতন দেয়।

কুয়েতে ক্লিনার শ্রমিকের বেতন কত

ক্লিনারের কাজের অভাব নেই কুয়েতে। যার কারণে শ্রমিক হিসেবে বা কোম্পানিতে এই কাজে যুক্ত হওয়া যায়। কোম্পানিতে ক্লিনারের কাজে বেতন নির্ধারন করে দেওয়া। সেখানে তাদের বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার। এছাড়া শ্রমিক হিসবেও ক্লিনারের কাজ করা যায়। এটার নির্ধারিত বেতন নেই। আপনার কাজের উপর এই বেতন পাবেন। বেশি কাজ করলে পারলে ৪০ হাজারের উপরের বেতন পাওয়া যাবে।

শেষ কথা

কুয়েতের শ্রমিকের কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারন করে দেওয়া আছে। কোম্পানির হয়ে কাজ করলে প্রতি মাসে একই বেতন দিবে। আলাদা ভাবে কাজে করলে এটা সোমপুর আপনার কাজের ধরনের উপর নির্ভর করবে। আশা করছি এই পোস্ট থেকে কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কত টাকা তা জানতে পেরেছেন। বিভিন্ন দেশের ভিসা ও কাজ সম্পর্কে জানতে এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

আরও দেখুনঃ

কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত ও ভিসার দাম

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি ও ঐ কাজের ভিসার দাম কেমন