দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

২০২২৪ সালে কি দুবাই যাওয়া ঠিক হবে? এখন দুবাইয়ে কি কাজ পাওয়া যাবে? বর্তমানে দুবাইয়ে কোন কাজে গেলে বেশি ভালো হবে। এই সকল প্রশ্ন আমাদের নতুনদের মনে থেকে যায়। কেননা অনেক দালাল সাধারণ কাজের ভিসা বানিয়ে দেয়। ফলে প্রচুর পরিশ্রম করেও ভালো বেতন পাওয়া যায় না।  বিদেশ যাওয়ার পূর্বে যেকোনো একটি কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এটা বেশি জরুরি না।

এখানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের কাজের পরিমাণ অনেক বেশি। আরব আমিরাতের শুধু দুবাই শহরের কাজ করেই শেষ হবে না। যদি কাজের অভিজ্ঞতা কম থাকে তাহলে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। সহজ কাজের মধ্যে ক্লিনার, ওয়েটার, রাঁধুনি বা ড্রাইভারের কাজ করা যেতে পারে। কাজের চাহিদার কথা বলতে গেলে, ছোট কোম্পানি থেকে বড় কোম্পানিতে অভিজ্ঞদের অনেক সুযোগ থাকে। তাই নিজেকে একটি কাজে অভিজ্ঞ করে তুলে দুবাই আসতে হবে।

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

মধেপ্রাচের অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে আরব আমিরাত। আর দিবাই এর একটি শহত বা প্রদেশ। যেখানে বনাগ্লাদেশ সহ বিশ্বের মানুষ কাজ করতে আসে। অনেক সময় দুবাই থেকে কাজের নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী লোক সিলেক্ট করে কাজ দেওয়া হয়। আপনি যদি কোনো কাজ না পারেন সব কাজ কঠিন লাগবে। সাধারণ কাজেও আপনার প্রতিযোগী বেশি মনে হবে। দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানার জন্য কাজের তুলনা করতে হবে।

বর্তমানে সকল দেশেই ক্লিনারের চাকরি, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এর কাজ বা ড্রাইভিং এর চাহিদা আছে। এগুলোতেও অনেক প্রতিযোগী থাকতে পারে। এজন্য নিজেকে অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে। যারা নতুন বিদেশে আসতে চান, তারা প্রথমে দুবাইয়ের বিভিন্ন কাজের ধরন গুলো জানুন। সেখানে কাজ কেমন বা এই কাজ কত বছর ধরে চলেছে এই বিষয় গুলো আপনাকে রিসার্স করতে হবে। এবং সেই সাথে নিজেকে কাজের জন্য দক্ষ করতে হবে। তাহলে যেকোনো কাজেই দুবাই আসতে পারেন।

২০২৪ সালে দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

শুধুর আগে থেকে দুবাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসী থাকে। যদিও বর্তমানে এর সংখ্যা বারতেছে। যেমন কর্মি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি কাজের চাহিদা ও কাজের সংখ্যা বেড়েছি চলেছে। দুবাইয়ে প্রতিনিয়ত বিল্ডিং, রাজমিস্ত্রি, কন্সট্রাকশন, লেভার, শ্রমিকের কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চাইলে একজন শ্রমিক হিসেবে এই কাজে অংশ নিতে পারেন। গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকলে, ড্রাইভিং কোম্পানিতে চাকরি নিতে পারেন।

রান্নার কাজ, খাবার সার্ভিসের কাজ ও দুবাই এবং ইংরেজি ভাষা জানা থাকলে, রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে কাজ করতে পারবেন। ঘর, অফিস এবং গাড়ি পরিষ্কারের কাজ জানা থাকলে ক্লিনার ভিসায় কাজ করতে পারবেন। ক্লিনার কোম্পানি গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। সেই সাথে ৫০ থেকে ৬০ হাজারের বেশি বেতন পাওয়া যাবে। আর শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে ইলেক্ট্রিশিয়ান, ম্যানেজার ও বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করা যাবে।

দুবাই রেস্টুরেন্ট এর কাজের চাহিদা কেমন

অনেকের কাছে রেস্টুরেন্ট এর কাজের কথা শুনা যায়। এটি একদম সহজ কাজের মধ্যে একটি, হোটেলের রাঁধুনি বা ওয়েটার এবং ক্লিনারের কাজ করতে পারবেন রেস্টুরেন্ট ভিসায়। এজন্য রেস্টুরেন্ট কোম্পানিও আছে। দিনের পর দিন দুবাইয়ে রেস্টুরেন্ট এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলো পচিচালনার জন্য অবশ্যই ম্যানেজার, ওয়েটার বা অনেক কর্মি লাগবে। তাই তারা অবশ্যই দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানুষের সন্ধান করবে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে রেস্টুরেন্ট এর কাজ শিখে দুবাই আসতে পারেন। কাজের চাহিদা ও বেতন অনেক ভালো।

দুবাই ক্লিনারের কাজের চাহিদা কেমন

এই দেশের সকল বাসা বাড়ি, অফিস বা কর্ম ক্ষেত্রের পরিষ্কারের কাজ শ্রমিক দ্বারা করানো হয়। তাই এখানে অনেক গুলো ক্লিনারের কোম্পানি তৈরি করা হয়েছে। যারা ঐ সকল স্থানের সকল ক্লিনারের কাজ করে। এই কাজের চাহিদা অনেক ভালো আছে। সাথে ৫০ থেকে ৬০ হাজারের মতো বেতন পাওয়া যাবে।

দুবাই ড্রাইভারের কাজের চাহিদা কেমন

আরব আমিরাতে সকল শহরেই ড্রাইভিং এর কাজের চাহিদা ভালো। উন্নত দেশ গুলোতে গাড়ি চালানো খুব কঠিন হয়। তাদের ট্রাফিক আইন-কানুন অনেক কঠিন। তাই আপনাক ড্রাইভিং জানার সাথে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। কোম্পানির হয়ে বা নিজে গাড়ি ভাড়া নিয়ে ড্রাইভিং এর কাজ করতে পারবেন। বছরের পর বছর ড্রাইভিং এর চাহিদা থেকেই যাবে।

দুবাই কোম্পানির কাজের চাহিদা কেমন

দুবাইয়ে অনেক কোম্পানি আছে। যাদের ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। ক্লিনারের কাজ, ড্রাইভিং, ইলেক্ট্রিশিয়ান বা ফ্যাক্টরির কাজ কোম্পানির হয়ে করা যাবে। আর কোম্পানিতে চাকরির জন্য অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে সাধারণ কাজের জন্য কোম্পানি ভিসার আবেদন করতে পারেন। বেতন ও কাজের চাহিদা প্রচুর।

দুবাই কনস্ট্রাকশন কাজের চাহিদা কেমন

সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কনস্ট্রাকশন করা হয় দুবাইয়ে। পপ্রতি মাসেই এই দেশে নতুন নতুন কনস্ট্রাকশন এর কাজ তৈরি হয়। এই সব কাজে অভিজ্ঞ শ্রমিক নেওয়া হয়। সাধারণ কিছু অভিজ্ঞতা থাকলে কনস্ট্রাকশনএর কাজে শ্রমিক বা লেভার হয়ে কাজ করতে পারবেন। সাথে বেতন অনেক বেশি পাওয়া যাবে।

কাজের চাহিদা অনুযায়ী বেতন কত টাকা

এই দেশের একজন শ্রমিক সাধারণ কাজ করে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করে। উচ্চমানের কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকের মাসিক বেতন কাজের চাহিদা অনুযায়ী ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা। ড্রাইভিং করে ই দেশে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যায়। ক্লিনারের কাজ ও শ্রমিকের কাজের বেতন মিনিমান ৫০ হাজার টাকা। রেস্টুরেন্ট এ ওয়েটারের বেতন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। একজন রাঁধুনি দক্ষতা অনুযায়ী ৭০ হাজারের উপরে বেতন পায়।

শেষ কথা

প্রথমে আপনাকে যেকোনো কাজে অভিজ্ঞ হতে হবে। কাজের চাহিদার পিছনে না ছুতে কাজ শেখার পিছনে ছুটুন। তাহলে দেখবেন এক সময় যেকোনো কাজে জয়েন হতে পারবেন। তবুও দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে রাখা ভালো। সেই অনুযায়ী অভিজ্ঞতা লাভ করে ভিসারর জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরও দেখুনঃ

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা

অস্ট্রেলিয়া শ্রমিকের বেতন কত টাকা ২০২৪