আরব আমিরাতের একটি শহরের নাম দুবাই। বেশির ভাগ মানুষ দুবাই কে একটি দেশ হিসেবে চিনে। দুবাইয়ে অনেক ধরনের কাজ আছে। যার কারণে বাংলাদেশের প্রবাসীরা কাজের জন্য দুবাইয়ে আসতে চায়। এই শহরে সহজ একটি কাজ হচ্ছে গাড়ি চালানো। যার জন্য কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। কাজের জন্য আসার পূর্বে দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত টাকা তা জেনে নিবেন।
বিভিন্ন দেশে ড্রাইভিং এর অনেক ভ্যালু আছে। তাদের দেশের টাকার রেট অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়। বাক্তিগত ড্রাইভার, কোম্পানির ড্রাইভার, অফিসের কর্মচারিদের ড্রাইভার বিভিন্ন পদে একজন গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করা যাবে। সাধারণ দুবাইয়ের ড্রাইভারদেরকে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। এছাড়া ট্রাক, বাস, প্রাইভেট কার এসকল যানবাহনের ড্রাইভারদের আলাদা আলাদা ভেতন আছে।
দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে বেশি অর্থ উপার্জন করা। যার কারণে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে একজন ড্রাইভার হিসেবে অন্য দেশে কাজ করার আগ্রহী প্রকাশ করে। যারা ড্রাইভিং এর কাজে অভিজ্ঞ ও ড্রাইভিং এর বিভিন্ন ডকুমেন্ট আছে, তাদের দুবাইয়ে কাজ পেতে অনেক সুবিধা হয়। দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এটি হচ্ছে এভারেজ বেতন। অন্যান্য গাড়ি চালকদের কে ড্রাইভিং এর ধরন অনুযায়ী বেতন প্রদান করা হয়। অনেক দক্ষ ড্রাইভার দুবাইয়ে গাড়ি চালিয়ে ১ লাখ ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে।
দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত ২০২৪
২০২৪ সালে প্রতি দেশে কাজ করে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। সকল দেশের টাকার রেট অনেক বেশি। যার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে এখন মানুষ অনেকটা ভালো মানের বেতন পায়। বর্তমান স,ময়ে ড্রাইভিং কাজের অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। কোম্পানির হয়েও এই কাজ করা যায়। ২০২৪ সালে অনেকের দারিভিং কাজের বেতন ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। যে যত দক্ষ ও বেশি পরিশ্রম করতে পারবে, প্রবাসে তার বেতনের মান তত বেশি হবে।
দুবাই ড্রাইভিং জব সেক্টর
একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পর্ন ড্রাইভারের কাজের অভাব নেই। তারা ড্রাইভিং এর কাজ করেই বিভিন্ন স্থানে জব করতে পারে। দুবাইয়ে কোম্পানির হয়েও ড্রাইভিং এর কাজ করা যায়। তাদের দেশের বড় বড় কোম্পানি গুলোতে যাতায়াত বা মালামাল পরিবহনের জন্য দক্ষ ড্রাইভারের নিয়োগ দেওয়া হয়। কাজের ধরনের উপরে এদের বেতন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। যারা বেশি অভিজ্ঞ ও অত্যাধিক কাজকরতে পারে, তারা কেউ কেউ ১ লাখ টাকা বেতন পায়।
- প্রাইভেট ড্রাইভার
- বাসা-বাড়ির ড্রাইভার
- কোম্পানির ড্রাইভার
- স্কুল বাসের ড্রাইভার
- ট্রাকের ড্রাইভার
- বাসের ফ্রাইভার
দুবাই ড্রাইভারের বেতন কত?
- প্রাইভেট ড্রাইভার এর বেতন ৪০ থেকে ৬০ হাজার।
- বাসা- বাড়ির ড্রাইভারদের বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার
- কোম্পানির ড্রাইভারদের বেতন ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ
- স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাস ড্রাইভিং এর বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার
- দুবাই ট্রাক ড্রাইভারের মাসিক বেতন ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার
- বাস ড্রাইভারদের বেতন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার।
- দুবাইয়ে সর্বনিম্ন ড্রাইভারের বেতন ৪০ থেকে ৮০ হাজার আর সর্বোচ্চ বেতন ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার
দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
দুবাইয়ে ড্রাইভিং এর জন্য প্রথমে ঐ দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে হবে। এজন্য আইডিপি থেকে আবেদন করতে হবে। এই লাইসেন্স বানাতে চার্জ প্রযোজ্য রয়েছে। বর্তমানে দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে প্রায় ৭ হাজার টাকা লাগে। দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যোগ্যতা থাকতে হবে। তাহলে দুবাইয়ে ড্রাইভিং করার জন্য লাইসেন্স েওয়া হবে।
দুবাই ড্রাইভিং ভিসা পেতে কি কি লাগবে
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে ভিসা বানিয়ে অনুমোদন নিতে হয়। এই অনুমোদনের জন্য প্রয়োজন ভ্যালিড ভিসা। দুবাই ড্রাইভিং ভিসা পেতে অনেক ধরনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, মেডিকেল টেস্ট ও টাকা লাগবে। এই সকল ডকুমেন্ট না জমা দিতে পারলে ড্রাইভিং এর জন্য ভিসা দেওয়া হবে না।
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- এনআইডি, স্মার্ট কার্ড বা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি (জন্ম সনদ টি অনলাইন হতে হবে)
- বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি
- ড্রাইভিং এর জন্য অভিজ্ঞতা সম্পর্ন বিভিন্ন ডকুমেন্ট
- সত্যায়িত সনদপত্র
- দ্রুতাবাস হতে সত্যায়িত কাগজপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারনেস ডকুমেন্ট
শেষ কথা
দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকের জন্য দুবাইয়ে অনেক কাজ আছে আছে। তো এখানে ড্রাইভিং এর চাকরি করতে আসার পূর্বে বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে আসবেন। ড্রাইভিং এর ধরনের উপর নির্ভর করে বেতন দেওয়া হয়। দুবাই ড্রাইভিং ভিসা সাধারণ ভাবে ৫০ থেকে ৬০ হাজার বেতন পাওয়া যাবে। ভিসা, পাসপোর্ট ও বিভিন্ন অনলাইন সেবা জানতে আমার সাথেই থাকুন।
আরও দেখুনঃ