এখন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার সকল কাজের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। আগ্রহী পার্থিদের ভিসা বানিয়ে ঐ দেশে যেতে হবে। অস্ট্রেলিয়াতে অনেক ধরনের কাজ আছে। আপনি যে কাজের উপর দক্ষ ও অভিজ্ঞও, তার জন্য ভিসা এজেন্সি থেকে ভিসা বানিয়ে নিবেন। বর্তমানে ভিসার দাম একটু বেশি। তবে যারা নতুন প্রবাসে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে, অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে তার কোনো ধারনা নেই।
আগের সময় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে কাজের ভিসা পাওয়া যেতো। ডলারের রেট ও টাকার রেট বৃদ্ধি পাওয়ায় ভিসার দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা। ভিসার ধরন ও ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে ভিসার মূল্য নির্ভর করে। কম দামে কিছু ভিসা পাওয়া যাবে, এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে
এই দেশে কাজের ভিসা পেতে কাজের ধরণ ও যাচাইয়ের পদ্ধতি উপর দাম নির্ভর করে। এজেন্সির মাধ্যমে প্রাপ্তকরণের খরচ বেশি তবে এটি সহজ পথ হতে পারে। এই ভিসা পেতে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে। ভিসার আবেদন করতে আপনার জীবনবৃত্তান্ত, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করা লাগবে। অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ ৫ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর বোয়েসেলে এর মাধ্যমে ভিসা পেতে ৪ লাখ টাকার মধ্যে খরচ হবে। আঃে বড় কোম্পানির ভিসার জন্য ৫ থেকে ৬ লাখ লাগবে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের কি কি ভিসা আছে
অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার জন্য ভিসা পেতে যেকোনো একটি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ক্লিনার, গবাদি পশু পালন, কৃষিকাজ, হোটেল, ড্রাইভার, মেকানিক্যাল, লেবার, কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রনিক্স, ফুড প্যাকেজিং এমনকি এই ধরনের বিভিন্ন কাজের জন্য আপনি অস্ট্রেলিয়াতে আসতে পারবেন। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা ভিসা আছে। শ্রমিক, লেভার ও কোম্পানিতে জব করার সুযোগও থাকে এই দেশে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ
অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসা প্রাপ্ত করতে বিভিন্ন দলানে বিভিন্ন মূল্যের ভিসা খরচ প্রয়োজন। তবে, মোট খরচ আপনার যাচাইয়ের ধরন এবং কি ধরনের সাহায্যে আপনি ভিসা প্রাপ্ত করতে চান তার উপর নির্ভর করতে পারে।
- স্বল্পমূল্যে ভিসা প্রাপ্তকরণের জন্য স্বল্প খরচ প্রয়োজন। যেমন ক্লিনার, লেভার, শ্রমিক এসব ক্যাটাগরির ভিসার খরচ ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। কোম্পানি, ফ্যাক্টরি ও বড় ধরনের কাজ পেতে ভিসার খরচ ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
- ডলারের বৃদ্ধির মাধ্যমে ভিসার খরচ নির্ভর করে। ডলারের রেট কম থাকলে ভিসা বানাতে খরচ কম হবে এবং রেট বেশি থাকলে ভিসা বানাতে টাকা বেশি লাগবে।
- এজেন্সি মাধ্যমে ভিসা বানাতে বেশি খরচ হতে পারে। বেশিরভাগ এজেন্সি টাকার জন্য ভিসা বানিয়ে দেয়। তাই ভালো কোনো এজেন্সি দিয়ে ভিসা বানাতে পারলে প্রায় ১ লাখের মতো খরচ কম হবে। আর সরকারি ভাবে ভিসা বানাতে খরচ ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
কাগজপত্র ও অন্যান্য আবশ্যক ডকুমেন্ট
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পেতে আপনাকে কিছু কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে, যেমন পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য বীমা, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, টিকা কার্ড, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, মেডিকেল রিপোর্ট, এবং IELTS স্কোর ইত্যাদি। উচ্চমানের কাজের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও এর ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। ড্রাইভিং এর কাজ হলে বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় দকুম্নেত জমা দেওয়া লাগবে। তাই অস্ট্রেলিয়া আসার পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা ও সকল ডকুমেন্ট অর্জন করুন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পেতে মোট খরচ কত
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পেতে মোট খরচ প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ। ভালো মানের ভিসা হলে খরচ হবে ৯ লাখের মতি। সাধারণ মানের ভিসায় অস্ট্রেলিয়া আসতে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ হবে। সরকারি ভাবে কাজের ভিসা পেলে খরচ হবে ৫ লাখ টাকা। ভিসা, পাসপোর্ট, বিমান ভাড়া ও বিভিন্ন টেস্ট সকল খরচ মিলিয়ে ভিসার উপড় নির্ভর করে ৭ থেকে ৯ লাখ টাকার মতো খরচ হবে।
শেষ কথা
সকল তথ্য নিজে নিজে যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ. তাই ভিসা এজেন্সিদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কম মূল্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা বানাতে অনেক গুলো এজেন্সিদের সাথে যোগাযোগ করুন। এর মধ্যে বিশ্বস্ত ও কম রেটে যে বানিয়ে দিতে পারবে তার মাধ্যমে বানানর চেষ্টা করবেন। এছাড়া আর কোনো ভাবেই কম খরচে ভিসা পাওয়া যাবে না। সরকারি ভাবে খরচ কম লাগলে, ভিসার নিয়োগ সম সময় থাকে না। আশা করছি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ কত টাকা লাগে তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ