অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা ২০২৪

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে অস্ট্রেলিয়া থেকে কাজের নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে তাদের দেশের কৃষকের পরিমাণ কম থাকায় বাইরের দেশের কৃষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। আপনারা কৃষিকাজ জানলে বা এই পেশায় অভিজ্ঞ হলে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা আবেদনের মাধ্যমে এই পদে কাজ নিতে হবে। আজকে অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা দাম কত? এই ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা শেয়ার করেছি। এছাড়া কৃষি ভিসা খোলা না বন্ধ এবং কিভাবে আবেদন করতে হয় তা এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা

এখানে বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি কৃষিকাজের চাকরি করা যায়। দেশটির সরকার প্রতি বছর কোম্পানি গত ভাবে কৃষি ভিসার জন্য বাংলাদেশে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগে আবেদনের মাধ্যমে কাজ নেওয়ার সুযোগ থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ভিসা এজেন্সি থেকে অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা বানাতে পারবেন। বর্তমানে এই ভিসার দাম বেড়েছে। এখন কৃষি ভিসা পেতে ৫ লাখের উপরে লাগে। এখানে কৃষি কাজ করে ভালো পরিমাণে বেতন পাওয়া যাবে।

  • চাষাবাদের কাজ
  • বাগানের কাজ
  • ফুলের বাগানের কাজ
  • ফার্মের কাজ
  • গবাদি পশু পালন
  • ফসল বাছাইয়ের কাজ
  • আঙ্গুর বাগানের কাজ
  • কমলার বাগানের কাজ

অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা ২০২৪

অনেক সময় সরকারি ভাবে কৃষি কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়া যায়। ঐ ভিসার দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়া দ্রুতাবাস বাংলাদেশে বোয়েসেলের মাধ্যমে কৃষি কাজের নিয়োগ দেয়। সেই নিয়োগে আবেদনের মাধ্যমে কম খরচে কৃষি ভিসা পায়া যাবে। আবেদনের জন্য নুন্যতম যোগ্যতা গুলো দেওয়া থাকে। তাদের নিয়ম অনুসরণ করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ফ্রি ভিসা পেতে বোয়েসেলে ওয়েবসাইট থেকে নোটিশ চেক করুন।

অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসার দাম ২০২৪

প্রতিটি দেশে নানা ধরনের ভিসা আছে। ভিসার মান ও ধরনের উপর এর দাম নির্ভর করে। যেকোনো দেশের ভালো ভিসা পেতে বেশি খরচ হয়। তবে সকল দেশের কৃষি ভিসার দাম তুলনায় কিছুটা কম। ইউরোপের দেশ গুলোতে এই ভিসার দাম ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসার দাম ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। আগে ৫ লাখ টাকায় ভিসা পাওয়া যেতো। বর্তমানে ৫ লাখের উপরে খরচ হয়। কম খরচে ভিসা বানাতে ভালো একটি এজেন্সির সাহায্য নিতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসার বেতন কত

কৃষি ভিসায় কয়েক ধরনের কাজ দেওয়া হয়। ফসল উৎপাদন, পশুপালন, সবজি বা ফলমূল সংগ্রহ ও উৎপাদন ইত্যাদি। এই কাজের উপরে তাদের কে বেতন দেওয়া হয়। প্রতিটি কৃষকের বেতন কাজের ধরনের উপরে দেওয়া হয়। যে বেশি কাজ করতে পারে তাদের কে বেতনও  বেশি দেয়। অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসার বেতন ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজারের মধ্যে। অনেক কোম্পানিতে ফার্মের কাজের জন্য নেওয়া হয়। তাদের কে ৬০ হাজারের মতো বেতন প্রদান করে।

অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

একটি দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে অনেক ধরনের খরচ হয়। ভিসা বানানো ছাড়াও আরও অনেক খরচ আছে। যেমন পাসপোর্ট বানাতে হয়। মেডিকেল করাতে হয়। বিমানের টিকিট বুকিং দিতে হয় ইত্যাদি। অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ভিসার দাম ৬ লাখ টাকা। পাসপোর্ট বানাতে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ পর্যন্ত টিকিটের দাম নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসায় যেতে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে।

অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা আবেদন

অনেক সময় সিনাল ভিসায় অস্ট্রেলিয়ার কৃষি কাজ পাওয়া যায়। এটি কোম্পানি ভিত্তিক কাজ হয়ে থাকে। এই ভিসার মেয়াদ ৬ থেকে ১২ মাস। সিজনাল ভিসায় যেকোনো এক কোম্পানিতে এক বারের জন্য নেওয়া হয়। কাজ শেষ হলে আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া দির্ঘ মেয়াদি কাজের নিয়োগও দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা আবেদন এর মাধ্যমে কৃষি ভিসা নিতে হবে। নিচে কৃষি ভিসা আবেদনের নিয়ম দেখানো হয়েছে।

  • প্রথমে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। https://immi.homeaffairs.gov.au/ এটি তাদের ভিসা আবেদনের ওয়েবসাইট।
  • এরপর প্রথমে লগ ইন করে নিবেন। একাউন্ট না থাকলে একাউন্ট খুলে নিবেন।
  • এখন Apply for a Visa” বা “Visa Wizard সিলেক্ট করুন।
  • এখনা আবেদন পত্রে যা যা প্রয়োজন তা পুরন করে দিন।
  • আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো যুক্ত করে দিন।
  • আবেদনের জন্য ফি লাগবে। আবেদন ফি পরিশোধ করুন।
  • আবেদন টি সাবমিত করুন। আবেদনটি অনুমোদিত হলে ভিসা প্রদান করা হবে। আপনার দেওয়া ঠিকানায় ইমিগ্রেশন ডিটেইলস পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা আবেদন ফরম

অনলাইনে বিভিন্ন দেশের ভিসার আবেদন করা যায়। এজন্য বিভিন্ন দেশের আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট আছে। https://immi.homeaffairs.gov.au/ এটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ভিসা আবেদন ফরম। এই ফর্ম পূরণের মাধ্যমে তাদের কাছে ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসাউ আবেদনের জন্য অনেক ধরনের কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে। যেমনঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা, কৃষি অভিজ্ঞতা, অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ব্যবস্থাপনা জ্ঞান এবং ঐ দেশের ভাষা বোঝার অভিজ্ঞতা। এছাড়া ব্যালিড পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারনেস ইত্যাদি।

শেষ কথা

কৃষি কাজের অস্ট্রেলিয়া আসার পূর্বে প্রাথমিক ধারনা নিয়ে আসবেন। সবচেয়ে ভালো হয় দেশ থেকে কৃষিকাজের জন্য সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ নিয়ে আসলে। ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে কৃষি ভিসার আবেদন করতে পারবেন। আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগছে  এবং অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা আবেদনের নিয়ম ও ভিসার দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

লন্ডন কৃষি ভিসা আবেদন করার নিয়ম ও ভিসার দাম ২০২৪