এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত এই দেশ। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা কাজের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চায়। বর্তমানে এই দেশে উচ্চমানের বেতন পাওয়া যায়। যার কারণে খরচ বেশি হলেও সবাই এই দেশের ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করে। লটারি, সরকারি ও কোম্পানির মাধ্যমে এখানে বিভিন্ন কাজ এর জন্য ভিসা পাওয়া যায়। দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা কম খরচে পাওয়া যায় সরকারি ভাবে।
এছাড়া লটারির মাধ্যমে ফ্রিতে কাজ করার সুযোগ থাকে। বিভিন্ন সংস্থা ও এজেন্সির মাধ্যমে কাজের ভিসা বানাতে ১০ লাখের উপরে খরচ হবে। এই দেশ টিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। ঐ কাজেত ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে ভিসা বানাতে হবে। শ্রমিক, লেভার, কৃষি কাজ ও ক্মপানি কাজের জন্য ভিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিভাবে কাজের ভিসা পাবেন এই সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন ।
দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা
এখানে চাকরির মান অনেক ভালো যার কারণে বেশি পরিমাণে বেতন পাওয়া যায়। তবে চাইলে সবাই দক্ষিণ করিয়ার ভিসা পাবে না। এজন্য অনেক নির্দেশনা দেওয়া আছে। এর মধ্যে অবশ্যই কোরিয়া ভাষা জানতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে ও ওয়ান প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়াতে অনেক গুলো ভিসা চালু আছে। এই সব গুলো কাজের ভিসা। নিচের অংশে দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা গুলো তালিকা আকারে দেওয়া আছে। এই ভিসার মাধ্যমে ঐ দেশে যেতে ৮ থেকে ১৪ লাখ টাকা খরচ হবে। এবং ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে।
- কৃষি ভিসা
- ক্লিনার ভিসা
- জব ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- সিজনাল ভিসা
- নন সিজনাল ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- শ্রমিক ভিসা
- লেভার ভিসা
- ফ্যাক্টরি ভিসা
দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা ২০২৪
২০২৪ সালে এই ভিসা গুলো চালু আছে। ভিসার আবেদনের মাধ্যমে কোরিয়াতে এই ধরনের কাজ করার সুযোগ পাবেন। এজন্য অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিসার আবেদন করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজ করতে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বানাতে হবে। বাংলাদেশ বোয়েসেল এ আবেদন করা যাবে। প্রতি কাজের ক্যাটাগরির জন্য আলাদা ভিসা আছে। কৃষি কাজের জন্য কৃষি ভিসা। এই ভিসায় জমিতে চাষাবাদ, ফসল সংগ্রহ ও মাড়াই করা, ফার্মের কাজ, ফল ও ফুলের বাগানের কাজ দেওয়া হবে।
শ্রমিক ভিসায় ফ্যাক্টটির, বিভিন্ন কল কারখানার, বিভিন্ন ছোট ছোট কোম্পানির কাজ দেওয়া হবে। ক্লিনার ভিসায় অফিস, ঘর বাড়ি, ফার্ম, রেস্টুরেন্ট এর ক্লিনারের কাজ করা যাবে। এছাড়া ক্লিনার ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লিনার কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ থাকে। কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে করিয়ার বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি করা যায়। এজন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে।
সিজনাল ও নন সিজনাল ভিসার মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কোম্পানির মালিকের কাজ করতে হয়। সিজনাল ভিসা গুলো নির্দিষ্ট একটা সময়ে চালু থাকে। কোরিয়াতে বিজনেস করতা চাইলে অবশ্যই বিজনেস ভিসা বানাতে হবে। এই ভিসা বানিয়ে কোরিয়াতে নিজস্ব ভাবে বা শেয়ারের মাধ্যমে আপনাদের বিজনেস চালু করতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা নিয়োগ ২০২৪
সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়া যায়। এজন্য প্রতি বছর বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কাজের নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই ভিসা গুলো দেওয়া থাকে। উপযুক্ত শ্রমিকদের কে সরকারি ভিসায় কোরিয়াতে পাঠানো হয়। ২০২৪ সালের নতুন করে দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা নিয়োগ দেওয়া হবে। কোরিয়াতে নতুন প্রজেক্ট চালু হলে https://boesl.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে নোটিশ দেওয়া হবে।
এটি বাংলাদেশ ভিসা এজেন্সির অফিসিয়াল বয়েসেল ওয়েবসাইট। এখন পর্যন্ত নতুন করে কোরিয়াতে থেকে বাংলাদেশে কাজের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কাজের নিয়োগ প্রকাশ করা হলে এই ওয়েবসাইটে নোটিশ দেওয়া হবে। কোরিয়া ভাষা জানা থাকলে এবং কমপক্ষে এইচ এস সি ও সমমান সার্টিফিকেট থাকলে এই কাজের জন্য আবেদন করা যাবে।
শেষ কথা
দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের কাজের ভিসা আছে। প্রতি ভিসার দাম কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে। উন্নতমানের কাজের জন্য ভিসা বানাতে প্রায় ১০ থেকে ১৩ লাখ টাকা লাগবে। কম খরচে কৃষি ভিসা, ক্লিনার ভিসা ও শ্রমিক ভিসা পাওয়া যাবে। আর সরকারি ভাবে কাজের ভিসা পেতে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা গুলো ভালোভাবে জেনে আবেদন করতে হবে।
আরও দেখুনঃ