প্রতিটি দেশ একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তবে এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে যেতে তাদের কে সরকারি ভাবে অনুমতি নিতে হয়। যার প্রসেস হচ্ছে ভিসা। ভিসা বানিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশে যাওয়া যায়। তবে পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে বাংলাদেশের নাগরিক যাওয়ার অনুমতি নেই। কারণ ঐ দেশের ভিসা বন্ধ। অনেকে কাজের জন্য বা ভ্রমণের জন্য কুয়েত বেছে নেয়। তাই সেখানে যাওয়ার আগে কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা তা জানতে হবে।
করোনার সময়ে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ ছিলো। তখন কেউ এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারতো না। ঐ সময়ে কুয়েতের ভিসাও বন্ধ করা হয়েছিলো। আজকে জানবো বর্তমানে কুয়েতের ভিসার অবস্থা, এখানে কি কি ভিসা চালু আছে,কুয়েত ভিসা আবেদনের নিয়ম। এছাড়া কুয়েতের কোম্পানি ভিসা ও এর বেতন কত টাকা।
কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা ২০২৪
এশিয়ার এই দেশে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ চাকরির জন্য যায়। আগের সময়ে বাংলাদেশ ও কুয়েতের ভিসা চালু আছিলো। এরপর মহামারির পর ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু কুয়েত নয় বাংলাদেশ থেকে সকল রাষ্ট্রের ভিসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলো বিভিন্ন দেশের সরকার। প্রায় ১ বছরের উপর এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে যেতে পারতো না। ২০২২ সালের দিকে করোনা স্বাভাবিক হয়ে যায়। এরপর থেকে কিছু কিছু দেশে পুনরায় ভিসা চালু করেছিলো। তারপর এক সময় কুয়েতেও বাংলাদেশের ভিসা চালু করা হয়েছে। বর্তমানে কুয়েত ভিসা খোলা আছে। ভিসা আবেদন এর মাধ্যমে এখানে চাকরির সুযোগ পাবেন।
কুয়েত কি কি ভিসা চালু আছে
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলো থেকে প্রতি বছরেই হাজার হাজার মানুষ কুয়েতের কাজের জন্য যায়। এছাড়া কিছু মানুষ ভ্রমণের জন্য যায়। ভ্রমণ করতে টুরিস্ট ভিসা প্রয়োজন। কুয়েতে পারয় সকল ভিসা চালু আছে। চাকরি, শিক্ষা, ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য আলাদা আলাদা ভিসা বানাতে হয়। ভাক্রির ক্যাটাগরিতে আছে আরও অনেক ধরনের ভিসা। এর মধ্যে কোম্পানি ভিসা, জব ভিসা, ড্রাইভিং ভিসা ইত্যাদি। কুয়েতে কোম্পানির চাকরি জন্য বাংলাদেশে কোম্পানি ভিসায় সার্কুলার দেওয়া হয়। এই সার্কুলার থেকে অনেক মানুষ কোম্পানির চাকরি পায়।
- ক্লিনার ভিসা
- জব ভিসা
- রেস্টুরেন্ট ভিসা
- কৃষি ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- হোটেল ভিসা
- সার্ভিসিং ভিসা
- কোম্পানি ভিসা
ক্লিনার ভিসাঃ
এই দেশে নানা ধরনের কোম্পানি আছে। এই কোম্পানি গুলো বাসাবাড়ি, অফিস বা অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি তে বিভিন্ন ধরনের ক্লিনার সার্ভিস দিয়ে থাকে। এই পদে আপনারা চাকরি করতে পারবেন। এখানে ভিসা পেতে ৮ লাখ টাকা লাগে। বেতন কাজের উপর নির্ভর করে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
জব ভিসা:
জব ক্যাটাগরিতে আরও অনেক চাকরি আছে। সেই অনুযায়ী ভিসা বানাতে হবে। জন ভিসা বানাতে ৮ লাখ টাকা লাগে। বেতন ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
রেস্টুরেন্ট ভিসাঃ
এখানে রেস্টুরেন্ট এ বিভিন্ন পদে চাকরি পাওয়া যায়। শেফ, ওয়েটার, ম্যানেজমেন্ট বা ম্যানেজার হিসেবে। সেফ ওয়েটারের চাকরি পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। তবে এই কাজে অভিজ্ঞ হতে হবে। আর ম্যানেজমেন্ট ও ম্যানেজার এর চাকরি পেতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। বেতন পদের উপর ভিত্তি করে ৩০ ত্যহেকে ৮০ হাজার টাকা।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ
সরকারি ভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় কুয়েত আসা যায়। তখন ভিসার খরচ সহ মোট খরচ হয় ৩ লাখের মতো। এছাড়া এখানে স্টুডেন্ট ভিসার দাম ৫ লাখ টাকা।
কোম্পানি ভিসাঃ
কোম্পানি চাকরির জন্য প্রতি বছর সার্কুলার পাওয়া যায়। কোম্পানি ভিসায় যেতে অনেক সময় ৭ লাখ টাকা লাগে। এবার অনেক সময় ৯ লাখ টাকা লাগে। এটা কোম্পানির উপর নির্ভর করে। কোম্পানি ভিসার বেতন ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
শেষ কথা
কুয়েতে ভিসা চালু আছে। তবে এখানে আসার আগে আপনি যে কাজের জন্য বা ভিসায় আসবেন তা খোলা আছে কি না জেনে নিতে হবে। জানার জন্য ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তারা আপনাকে ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিবে। তাদের কাছে থেকে যেকোনো ভিসা বানাতে পারবেন। আসা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা তা জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ