কুয়েত প্রবাসীদের চাকরির স্থান। এই দেশে অনেক দেশ থেকে কাজের জন্য শ্রমিক নেওয়া হয়। সেখানে নানা ধরনের কাজের সুযোগ থাকে। এই দেশে সবচেয়ে সহজ চাকরি হচ্ছে ড্রাইভিং করা। তবে ড্রাইভিং এর চাকরি করতে অভিজ্ঞ থাকতে হবে। এছাড়া সকল ট্রাফিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেগুলো ফলো করে গাড়ি চালাতে হবে। অনেক সময় কুয়েতের ড্রাইভিং কোম্পানি গুলো বাংলাদেশে গাড়ি চালকের জন্য নিয়োগ দেয়। ড্রাইভিং ভিসা বানিয়ে সেখানে কাজে যেতে পারেন। আজকে কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত টাকা এই সম্পর্কে শেয়ার করেছি।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
প্রতি সেক্টরের কুয়েতের ভালো মানের ভেতন রয়েছে। যারা অভিজ্ঞ ও খুব দক্ষ তারাই কুয়েত থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়। এই দেশের ড্রাইভিং ব্যবস্থা খুব উন্নত এবং এই কাজের অনেক মান দেওয়া হয় এখানে। কুয়েতে ব্যাক্তিগত, কোম্পানি, অফিস বা ভাড়া চালিত ড্রাইভিং এর চাকরি পাওয়া যায়। এই সেক্টর গুলোতে আলাদা ভাবে বেতন দেওয়া হয়। কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন ৫০০০০ থেকে ৫৭০০০ টাকা।
এই দেশের উচ্চমানের কোম্পানিতে যারা ড্রাইভিং এর চাকরি করে তাদের অনেক সুবিধা দেওয়া হয়। এর পাশা-পাশি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন দিয়ে থাকে। ব্যাক্তিগত ড্রাইভারের বেতন ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়া লোকাল ভাবে বিভিন্ন গাড়ি ভাড়ায় চালালে আপনার কাজের উপর বেতন নির্ভর করবে। বেশি কাজ করলে পারলে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত এই দেশের ড্রাইভিং এর বেতন ১৪০ থেকে ১৭০ দিনার এর মধ্যে।
কুয়েত কোম্পানি ড্রাইভিং ভিসা
এই দেশের অনেক গুলো ড্রাইভিং কোম্পানি আছে। এই কোম্পানিতে ড্রাইবার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। চাকরির জন্য বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়োগ প্রদান করে। এই নিয়োগে আবেদনের মাধ্যমে ড্রাইভিং কোম্পানিতে চাকরি নিতে পারবেন। ড্রাইভিং এর এই কোম্পানিতে ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। আপনার পূর্বের অভিজ্ঞতা থাকলে বাংলাদেশের ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ড্রাইভিং ভিসায় আবেদন করতে পারেন।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার দাম ২০২৪
এই দেশের চাকরির জন্য ভিসা বানাতে হবে। কুয়েতে নানা ধরনের ভিসা আছে। ড্রাইভিং করার জন্য ড্রাইভিং বা কোম্পানি ভিসা বানাতে হবে। তবে কোম্পানি ভিসায় ড্রাইভিং এর কাজ সব সময় থাকে না। বর্তমানে কুয়েতের ভিসার মূল্য আগের থেকে বেড়েছে। এখন কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার দাম ৮ লাখ টাকা। অনেক সময় এর থেকে বেশি টাকা লাগে। ভালো ভিসা এজেন্সি দিয়ে ভিসা বানাতে পারলে খরচ কিছুটা কম হবে। বাংলাদেশে অনেক গুলো ভিসা এজেন্সি থেকে ড্রাইভিং ভিসা বানাতে পারবেন। তবে ভুয়া এজেন্সির সাথে ভিসা বানাবেন না।
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা খোলা না বন্ধ
আগের সময়ে কুয়েতের সকল ভিসাক বন্ধ আছিলো। বর্তমানে এই দেশের ভিসা গুলো চালু আছে। যেকোনো ভিসায় এই দেশে চাকরি করতে পারবেন। এখন ড্রাইভিং ভিসা খোলা পাওয়া যাবে। আবেদন যোগ্যতা থাকলে ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবার অনেক এজেন্সি আছে ভিসা খোলা থাকা স্বত্বেও ভিসা বানিয়ে দিতে পারে না। কারণ তাদের কাছে এই ভিসার জন্য কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।
ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
এক দেশে থেকে অন্য দেশে যেতে অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন টি ভিসা বানানোর মাধ্যমে নিতে হয়। ভিসা বানাতে ৮ লাখ টাকা লাগে। এছাড়া পাসপোর্ট ও ভিসা প্রসেসিং খরচ আছে। কুয়েত যেতে বাংলাদেশ থেকে ঐ দেশের টিকিটের দাম ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার পর্যন্ত। এই সব কিছু মিলিয়ে ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েত যেতে ১০ লাখের উপরে টাকা লাগে। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমানের টিকিটের দাম কম হলে ১০ লাখের মধ্যে যাওয়া যাবে।
শেষ কথা
ভিসা বানানোর পূর্বে ভালো একটি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন। তাছাড়া আপনারা প্রতারিত হতে পারেন। কুয়েতে যেকোনো ভিসা বানাতে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে। ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো সংগ্রহ করে নিবেন। এছাড়া অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আসা করছি এই পোস্ট থেকে কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত ও ভিসার দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ