এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ কুয়েত। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কুয়েত কাজের জন্য যায়। সেখানে নানা ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রতি বছর কুয়েত থেকে চাকরির নিয়োগ দেওয়া হয়। চাকরির জন্য ভিসার আবেদনের মাধ্যমে কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিশ্চিত করতে হবে। ভিসা বানাতে বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। আজকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা, ভিসার দাম ও আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে শেয়ার করেছি।
কুয়েত কি কি কোম্পানি ভিসা আছে। এখানে কোম্পানির জন্য কি কি কাজ করতে পারবেন এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। এছাড়া এখানে কুয়েত যাওয়ার জন্য মোট কত টাকা লাগবে, বিমান ভাড়া ও টিকিটের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত শেয়ার করা হয়েছে। কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা
এখানে কাজ করতে চাইলে প্রথমে ভিসা বানাতে হবে। এজন্য প্রথমে জানতে হবে কুয়েত ভিসা বাংলাদেশে চালু আছে কি না। কুয়েতের ভিসা এখন চালু করা আছে। প্রতি বছর বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে কুয়েতে পারি দিয়ে থাকে বাংলাদেশের অনেক মানুষ। এখানে সবার পছন্দের একটি ভিসা হচ্ছে কুয়েত কোম্পানি ভিসা। এই কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে চাকরি করা যায়। এই দেশে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আছে। অনেক কোম্পানিতে চাকরি করতে অনেক শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে। তবে সাধারণ কোম্পানির চাকরি গুলো সবাইক করতে পারবেন। কম্পানিগত ভাবে এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েতের কোম্পানি ভিসায় এই দেশে আসতে পারবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা ২০২৪
এখানে নানা ধরনের কোম্পানি আছে। সালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে গেলে তারা যেকোনো একটি কোম্পানি ভিসা দিয়ে দিবে। তবে আপনি যদি নির্দিষ্ট একটা কোম্পানিতে চাকরির জন্য যেতে চান, তাহলে ঐ কোম্পানির মাধ্যমে যেতে হবে। নেক সময় কুয়েতের কোম্পানি গুলো লোক নেওয়ার জন্য নিয়োগ দেয়। তখন আপনারা তাদের কাছে কোম্পানি ভিসার আবেদন করতে পারেন। এই কাজ গুলোও এজেন্সির মাধ্যমে করা যাবে। জেনে নেওয়া যাক কুয়েতে কি কি কোম্পানি ভিসায় চাকরি করা যাবে।
- ড্রাইভিং কোম্পানি
- ইলেকট্রনিক কোম্পানি
- কনট্রাকশন কোম্পানি
- হোটেল কোম্পানি
- ফার্ম কোম্পানি
- সার্ভিসিং কোম্পানি
- রেস্টুরেন্ট কোম্পানি
- কৃষি বিষয়ক কোম্পানি
এছাড়া এখানে আরও অনেক ধরনের কোম্পানি আছে। যেগুলো চাকরি করতে পারবেন। কিছু কোম্পানিতে সবাই চাকরি করার জন্য আবেদন করতে পায় না। সেখানে শিক্ষিত বা অভিজ্ঞতা সম্পর্ন লোক নিয়োগ দেয়।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা
বিদেশ যেতে চাইলে সবার একটি কথা জানতে হবে তা হচ্ছে ভিসার দাম কত। এক দেশে থেকে অন্য দেশে সরকারি ভাবে যেতে ভিসা প্রয়োজন। যা বাংলাদেশ সরকার ঐ দেশের জন্য অনুমোদিত করে দেয়। সেখানে ভিসার ক্যাটাগরি উল্লেখ করা থাকে। কুয়েত যেতে আপনাদের মোট ৯ লাখের মতো টাকা লাগবে। কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
এছাড়া পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখের মটও টাকা খরচ হয়। যদি কোম্পানি নিয়োগের মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে কোম্পানি অনুযায়ী ৭ থেকে ৭ লাখ টাকা লাগবে। অনস্থায় ৮ লাখের নিচে কুয়েত ভিসা পাওয়া যাবে না। বিস্তারিত জানতে আপনারা ভালো একটি ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি লাগে
চাইলে যে কেউ এই দেশের ভিসা সংগ্রহ করতে পারে না। এজন্য কিছুটা ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। এছাড়া এই দেশে ২১ বছরের নিচে কাউকে কাজের অনুমতি দেয় না। ভিসা আবেদনের পূর্বে জেনে নিতে হবে কি কি ডকুমেন্ট লাগে। নিচের অংশে কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে যে সব দরকারি কাগজ-পত্রের প্রয়োজন হবে তা দেওয়া আছে।
- ভ্যালিড পাসপোর্ট
- বাংলাদেশ এনআইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি (যার সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে)
- চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সনদপত্র
- প্রশিক্ষণপ্রাপ্তর সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারনেস
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কিয়েতে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আছে। এই কোম্পানির ধরনের ও কাজের উপর বেতন নির্ভর করবে। যদি সাধারণ মানের কোম্পানি চাকরির জন্য এখানে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। ভালোমানের কোম্পানিতে কুয়েতের বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা, প্রফেশনাল কাজ গুলোর জন্য কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন ৭০ থেকে ১ লাখ টাকা। যারা উচ্চ শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা নিয়ে ভালো উচ্চমানের কোম্পানিতে চাকরি করে তাদের কে ৬০ হাজারের উপরে বেতন দেওয়া হয়।
শেষ কথা
যেকোনো কাজের জন্য যাওয়ার পূর্বে তা জেনে নিবেন এবং কাজের জন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। কোনো ধরনের কাজ না জেনে থাকলে চাকরির জন্য আবেদন করবেন না। ভালো বেতনে চাকরি পেতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। শ্রমিক হিসেবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বেতনের চাকরি এখানে পাওয়া যাবে। আসা করছি এই পোস্ট থেকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা তা জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা দাম ২০২৩। ক্লিনার কাজের বেতন কত