বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে চাইলে প্রথমে পাসপোর্ট বানিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসার আবেদন করার জন্য বাংলাদেশি এম্বাসি বা ভিসা এজেন্সিদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কানাডা যাওয়ার জন্য বেশ কয়েক ধরনের ভিসা আছে। আর মধ্যে কাজের ভিসা, টুরিস্ট বা বিজিত ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, মেডিকেল ভিসা ও বিজনেস ভিসা ইত্যাদি। কাজের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিরই ভিসা পাওয়া যাবে। এই সকল ভিসার কানাডা এম্বাসি ফি ভিন্ন ধরনের। সাধারণ একটি ভিসার জন্য আবেদন করতে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগে। কানাডার কোন ভিসার এম্বাসি বা আবেদন ফি কত টাকা জেনে নেওয়া যাক।
কানাডা এম্বাসি ফি কত
সরকারি ও বেসরকাই দুই পদ্ধতিতে ভিসা বানানো যাবে। অনেক সময় লটারির মাধ্যমে কানাডার ভিসা পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ভিসা আবেদন ফি প্রয়োজন হবে। ৫ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে সরকারি ভাবে কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। তবে বেসরকারি ভাবে এর থেকে বেশিও লাগতে পারে। ভিসার ধরন ও ভিসা এজেন্সিদের উপর কানাডা এম্বাসি ফি কত সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে। বর্তমানে ডলারের রেট অনেক বেশি। যার কারণে এম্বাসি ফি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভিসার ধরন অনুযায়ী কানাডা ভিসা এম্বাসি ফি ৮ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
কানাডা এম্বাসি ফি কত ২০২৪
২০২৪ সালে ভিসার আবেদন থেকে শুরু করে প্রসেসিং খরচ বেড়েছে। এছাড়া সকল ধরনের ভিসার দাম বেড়েছে। অনেক এজেন্সি আবার ভিসা বানার জন্য অনেক টাকা চার্জ করে। ২০২৪ সালে সাধারণ মানের একটি ভিসা এম্বাসি ফি প্রায় ১০ হাজার টাকা। এজন্য ভিসা বাণর পূর্বে বিভিন্ন এজেন্সিদের সাথে যাচাই করে নিতে হবে। যত উন্নতমানের ভিসা বানানো হবে তার খরচ ও আবেদন ফি তত বেশি হবে। একটি স্পন্সরশিপ ভিসা এম্বাসি ফি প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
কানাডা টুরিস্ট এম্বাসি ফি কত
ভ্রমণের জন্য বা কানাডাতে ঘুরাঘুরি করতে যাওয়ার জন্য যে ভিসা বানাতে হয় তা হচ্ছে ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা। দর্শক দেশের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য। তবে এই ভিসা বানিয়ে কানাডাতে গেলে ঘুরাঘুরি করা ছাড়া কথাও জব বা কাজ করতে পারবেন না। এই ভিসা শুধু টুরিস্টদের জন্য নির্ধারিত। কানাডা টুরিস্ট এম্বাসি ফি বর্তমানে ৭৮০০ থেকে ৮০০০ টাকা। এজেন্সিদের উপর নির্ভর করে এই খরচ কম বেশি হতে পারে। এছাড়া ভিসা পেতে আরও অনেক ধরনের খরচ প্রদান করতে হবে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এম্বাসি ফি কত
কাজের জন্য কানাডাতে ওয়ার্ক পারমিট পেতে হবে। এজন্য অনেক ধরনের কাজের ভিসা আছে। ঐ সকল ভিসাতে আবেদন করা লাগবে। সরকারি ভাবেও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। কানাডাতে সরকারি ওয়ার্ক পারমিট এম্বাসি ফি ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। কাজের ধরন ও ভিসার উপর নির্ভর করে বেসরকারি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এম্বাসি ফি ১১,৭০০ থেকে ৭৮,০০০ টাকা। এজেন্সি ও ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে এই খরচ কম বেশি হবে। সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যেও অনেক ভিসার এম্বাসি ফি নেওয়া হয়।
কানাডা কাজের ভিসা এম্বাসি ফি কত
কাজের জন্য কানাডাতে অনেক ক্যাটাগরি ভিসা আছে। সাধারণ মানের কাজ থেকে শুরু করে উন্নতমানের কাজ পাওয়া যাবে কানাডাতে। কানাডা কাজের ভিসা আবেদন ফি ৮ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। সরকারি ভাবে যে সকল ভিসা পাওয়া যাবে তাদের এম্বাসি ফি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন এজেন্সিতে কানাডা কাজের ভিসার এম্বাসি ফি ৮০ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত। ৩০ থেকে ৬০ হাজারের মধ্যে অনেক এম্বাসি ফি নেওয়া নয়। এ ক্ষেত্রে আপনি কোন ভিসা আবেদন করবেন তা নির্ভর করে।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা এম্বাসি ফি কত
উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কানাডা আসতে স্টুডেন্ট ভিসা বানাতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্কলারশিপের মাধ্যমেও ফ্রি তে বা কম খরচে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়। এছাড়া সকল ভিসার থেকে স্টুডেন্ট ভিসার এম্বাসি ফি একদম কম। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা এম্বাসি ফি (প্রায় ১১,৭০০ টাকা। ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় এম্বাসি ফি নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে স্কোলারশীপ থাকতে হবে।
শেষ কথা
সরকারি ভাবে ভিসা বানাতে এম্বাসি ফি ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বেসরকারি ভাবে এম্বাসি ভিসার ফি ৮ হাজার থেকে ৮০ হাজারের উপরে। তবে সব সময় বা সকল ভিসা সরকারি ভাবে পাওয়া যায় না। এজন্য বেসরকারি ভাবেই বেশির ভাগ ভিসা বানানো হয়। তাই এম্বাসি খরচ বেশি হয়। বিভিন্ন এজেন্সি থেকে কানাডা এম্বাসি ফি কত টাকা তা জেনে ভিসা বানাবেন।
আরও দেখুনঃ