বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বেশির ভাগ সময় বঙ্গবন্ধু সেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে জীবন কাটিয়েছেন। পাকিস্তানিরা যুদ্ধের সময় তাকে কারাগারে রেখেছে। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে থাকার পর তার মুক্তি হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বেলা ১ টা ৩১ মিনিটে পাকিস্তান থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে। যার কারণে ঐ দিনটি কে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বলা হয়।
সেই উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় বিভিন্ন নেতা কর্মিরা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। আজ ১০ই জানুয়ারি সেই দিন টি। এই মহান ব্যাক্তিকে স্মরণের জন্য টাকা আমরা সম্মান জানানবো। তিনি আমাদের জন্য বেশিরভাগ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি বাংলাইর মহান নেতা ও বীর সন্তান।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বছরে এক বার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের সূচনা ঘটে তার কারাজীবনের মুক্তির মাধ্যমে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তি যুদ্ধের সময় স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে পাকিস্তানি সৈন্যরা টাকা বন্দি করে কারাগারে দেয়। এছাড়া যেকোনো আন্দলের সূচনা ঘটলে তাকেই প্রথম বন্দি করা হয়েছে। এক বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। যার ফলে পাকিস্তানি সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
দিন টি ছিলো জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ। তখন ইংরেজি ১৯৭২ সাল চলতেছিলো। ঐ সময়ে তাদের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মুক্তি পায়। এরপর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসে। বাংলাদেশে আগমন ঘটে এক মহান নেতার। যার ত্যাগের ফলে বাংলাদেশ আজ বিজয় অর্জন করেছে। এরপর প্রতি বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪
এই দিবস টি এক মহান ব্যাক্তিকে কেন্দ্র করে পালন করা হয়। তিনি আর কেউ নয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তার ত্যাগ ও জীবন কথা আমাদের সবারই জানা। এই যুদ্ধে বেশিরভাগ সময় টাকা পাকিস্তানের নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। এক সময় পাকিস্তানি সেনারা গ্রেফতার করে কারা জীবনে পাঠিয়ে দেয়।
রাজনীতিতে থাকা অবস্থায় মুক্তি যুদ্ধের সময় জীবনের বেশিরভাগ দিন গুলো অন্ধকার কারাগারে কাটাতে হয়েছে। তবে এক সময় তার মুক্তি মিলে। যা ১৯৭২ সালের ১০ই ফেসব্রুয়ারি ছিলো। জাতির জনক পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসাবে ৮ জানুয়ারি। পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন। আর ১০ই ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে আসেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কবে
১০ই জানুয়ারি, ২০২৪ সালের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। প্রতি এক বছরে এই দিনে দিবস টি পালন করা হয়। এই দিবস উপলক্ষ্য কোনো ছুটি ঘোষণা করা হয় না। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন দিবস টি পালন করে।
সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন এবং বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা করা হহয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কত তারিখ
বছরে একবার প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়। আওয়ামীলীগ সরকার ও বিভিন্ন কর্মচারি দিবস টি পালন করে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ। প্রতি বছরের এই দিনেই প্রত্যাবর্তনদিবস পালন করা হয়। ২০২৪ সালে জানুয়ারির ১০ তারিখ রোজ বুধবার এই দিবস পালন করা হবে।
শেষ কথা
এই দিবস উপলক্ষ কোনো সাধারণ ছুটি নেই। সরকারি-সরকারি সকল কাজ কর্ম চালু থাকে। প্রত্যাবর্তন দিবসে তেমন কোনো আয়োজন করা হয় না। এই দিনে বঙ্গবন্ধু সেখ মুজিবুর রহমান কে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। আশা করছি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কবে ও এই দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে প্রশ্ন উত্তর