বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে ভ্রমণে আসতে একটি টুরিস্ট ভিসা বানাতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে পর্তুগালের ভিসা এম্বাসি অফিস নেই। যারা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে যায়, তারা ভারতের দিল্লি শাখা থেকে পর্তুগালের ভিসা আবেদন করে। এছাড়া https://visa.vfsglobal.com/ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদনের অবস্থার উপর নির্ভর করে পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা খরচ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লাগবে।
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা
কোনো দেশে ভ্রমণের জন্য ভিজিট ভিসা লাগবে। প্রতিবছর পর্তুগালে অনেক পর্যটক ভ্রমণে আসে। তারা পর্তুগালের টুরিস্ট ভিসা বানিয়ে নেই। বাংলাদেশে এখন পর্তুগালের কোন পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস নেই। তবে, ঢাকায় পর্তুগালের একটি সম্মানসূলক কনস্যুলেট আছে। চাইলে তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে খুব সহজে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসায় ধরন ও মেয়াদের উপর নির্ভর করে পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা খরচ কত লাগবে। বর্তমানে সাধারণ মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ৬০ থেকে ১০০ ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় 7073.95 টাকা থেকে 11789.91 টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি এক বছরের ভিসার জন্য খরচ ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর ২ বছরের ভিজিট ভিসার জন্য খরচ প্রায় ৩৪ হাজার টাকা। এখন ভিসা সার্ভিস ফি এর খরচ ৩০ ইউরো বা 3536.97 টাকা। ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে ভিসা আবেদন করলে 5659.16 টাকা VAC সার্ভিস ফি লাগবে। এছাড়া ভ্রমণ ভিসার জন্য আলাদা খরচ রয়েছে। সাধারণ পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসার খরচ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত।
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসার দাম কত
একটি টুরিস্ট ভিসা করতে প্রায় ১ লাখের উপরে খরচ হবে। অনেক সময় পর্তুগালের ভিজিট ভিসার জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা খরচ হয়। এছাড়া আরও অনেক খরচ রয়েছে। ইউরোপের সকল দেশের ভিসার দাম বেশি। এখন পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসার দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। ভিসা এজেন্সিদের উর এই খরচ নির্ভর করে। আপনি কত দিনের ভিসা বানাবেন, কত জনের ভিসা বানাবেন তার উপরেও নির্ভর করে ভিসা খরচ বেশি হতে পারে। ৬ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ভিসার দাম কম লাগবে। সকল খরচ মিলিয়ে পর্তুগালের টুরিস্ট ভিসার জন্য ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা লাগে।
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে
চাকরি বা জব ভিসার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের ডকুমেন্ট লাগে। কিন্তু টুরিস্ট ভিসার জন্য তেমন কোনো ডকুমেন্ট লাগে না। নিজের ব্যাক্তিগত তথ্য ও পাসপোর্ট লাগবে। পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে বিস্তারিত দেখুন।
- কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
- ভিসা আবেদন ফর্ম।
- এনআইডি বা জন্মসনদ এর ফটোকপি।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ভ্রমণ বিমা ডকুমেন্ট।
- পুলিশ ক্লিয়ারনেস।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ডকুমেন্ট।
শেষ কথা
সময়ের সাথে ভিসা আবেদন ফি, খরচ বা ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে। ভিসা আবেদনের অবস্থার উপরেও ভিসার দাম নির্ভর করে। ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মধ্যে পর্তুগালের ভিজিট ভিসা বানাতে পারবেন। যত বেশি দিন ভ্রমণ করবেন, ভিসার মেয়াদ তত বেশি দিন দিতে হবে। আশা করছি পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ
কানাডা টুরিস্ট ভিসা খরচ কত টাকা