বিজয় দিবসের কবিতা আবৃতি ও ছোটদের কবিতা

সারা বাংলাদেশে ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে বিজয় দিবস পালন করা হয়। যার কারণে একে বিজয়ের মাস বলা হয়। এই দিনে শহিদের স্মরণ করা হয়। ইতিহাসকে সামনের দিকে নিতে পরবর্তি প্রজন্মকে সাক্ষী করতে এভাবে বছরের পর বছর মহান বিজয় দিবস উদযাপনের প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া অনেক স্থানে বা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তখন বিজয় দিবসের কবিতা, গান, ছন্দ বা উপন্যাস আবৃতি করার সুযোগ দেওয়া হয়।

অনেক পরিবারের ছোট- বোর্ড ছেলেমেয়েরা কবিতা আবৃতিতে অংশ নেয়। তাই তাদের কে এমন একটি কবিতা শেখাতে হবে যাতে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকে। আজকের পোস্টে এমন কিছু কবিতা শেয়ার করেছি যেগুলো ১৬ই ডিসেম্বরের জন্য লেখা হয়েছে। কবিতাতে বিজয় মাস বা বিজয় দিবসের মূল কথা গুলো বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা আছে। বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি, ছোটদের জন্য কবিতা ও নির্মলেন্দু গুণের কবিতা সমগ্র এই পোস্টে দেওয়া আছে।

বিজয় দিবসের কবিতা

সারা ডিসেম্বর মাস জুড়ে বিজয় দিবস পালন করা হয় না। তবে অনেক আগে থেকেই এই প্রোগ্রামের আয়োজন শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বিজয় দিবসের দিনে খেলাধুলা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। যেখানে বিজয়ীদের পুরস্কিত করে থাকে। যেকোনো শিক্ষার্থী এখানে অংশ নেওয়ার সুযীগ পায়। অনুষ্ঠানের ক্তি বিশেষ অংশ কবিতা আবৃতি। এখানে অবশ্যই বিজয় সমরকে কবিতা পড়ে শুনাতে হবে। এমন কবিতা পেতে নিচে দেওয়া বিজয় দিবসের কবিতা গুলো সংগ্রহ করুন।

কবিতার নামঃ  বিজয়ের দিন
লেখকের নামঃ  তাসনিয়া আহমেদ  

বাংলাদেশে পাক-শাসনের আসন যেদিন টলে,
সেদিনটাকে আজকে সবাই ‘বিজয় দিবস’ বলে।
বিজয় কিন্তু অনেক দামী; সহজলভ্য নয়।
মুক্তিসেনা বিজয় আনে জয় করে সব ভয়।

লাল সবুজের পতাকাটার আজকে খুঁটি শক্ত;
আনতে সেটা,বীর সেনারা দিয়েছিলো রক্ত।
বাংলা মায়ের বীর ছেলেরা ভয় পায়না মোটে।
তাদের ত্যাগে মোদের মুখে বিজয় স্লোগান ফোটে।

বিজয় দিবস রক্তে ধোয়া,বীর শহীদের স্মৃতি। বিজয় নিয়েই আজকে লেখা-কবিতা আর গীতি।
বিজয় মাখা ফুলে-পাতায়,বিজয় সবুজ ঘাসে।
বছর ঘুরে এদিন যেন বারে বারে আসে!

কবিতার নামঃ  ১৬ ই ডিসেম্বর
লেখকের নামঃ তানজিম এ আল আমিন  

বছর ঘুরে আবার এলো ষোলই ডিসেম্বর
বিজয় গানে উঠলো মেতে মানুষ আপামর।

একাত্তর এর সেই সে বিজয়
করলো স্বাধীন সকল হৃদয়
শোষন ত্রাসন করলো বিদায়
করলো নতুন সূর্য উদয়

সেই সূচনায় আমরা সবাই স্বাধীন নিরন্তর,
বছর ঘুরে আবার এলো ষোলই ডিসেম্বর।

কবিতার নামঃ ১৬ই ডিসেম্বর 
লেখকের নামঃ  অন্তু সরকার প্রণব 

১৬ই ডিসেম্বর এলে
মনটা আমার কেমন কেমন করে
সোনার ছেলেরা যে যুদ্ধে গিয়ে
আর ফেরেনি ঘরে।

পাক হানাদারদের ওই হাতে
মরলো মানুষ দিনে রাতে
দেশের জন্য জীবন দিয়ে
শহীদ হলো তারা তাতে।

নয় মাস যুদ্ধ করে
সব হানাদার হলো শেষ
সৃষ্টি হলো এক নতুন দেশের
দেশের নামটি বাংলাদেশ।

এই বিজয়ের মাঝেও যে
অনেক কষ্ট আছে
জীবন দিয়ে লাখো মানুষ
শহীদ হয়ে গেছে।

৪২ বছর পরে এসে
ষোলই ডিসেম্বরে
দেশকে মোরা কী দিয়েছি
দেখি হিসাব করে।

দেশের মানুষ থাকুক ভালো
মিলিয়ে কান্না হাসি
আসো সবাই একটু হলেও
দেশকে ভালোবাসি।

কবিতার নামঃ  বিজয় ডিসেম্বর
লেখকের মামঃ সিফাত আহমেদ  

লাল সবুজের স্মৃতি ঘেড়া নিশান আমার উড়ে।
কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তোমার চোখের জলে,
জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,

হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।

মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।
তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাঁই
বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,
পাক বাহিনীর নির্যাতনে,

আর হবেনা শোষন এবার তোমার আপন ঘরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।

বিজয় দিবসের উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও শুভেচ্ছা বার্তা

বিজয় দিবসের কবিতা ২০২৩

অনেক বিখ্যাত কবি বিজয় দিবস নিয়ে কবিতা লিখেছেন। এই অংশে নতুন নতুন কবিতা গুলো সংগ্রহ করে দিয়েছি। ২০২৩ সালের বিজয় দিবসের কবিতা গুলো এখানে পাবেন।

কবিতার নামঃ  প্রতিদান দেবো
লেখকের নামঃ  আসাদ চৌধুরী 

ক্ষতবিক্ষত পা দিগন্তে ছুঁতে পারেনি।
ছিল অস্পষ্টতা, ভুল বোঝাবুঝি ছিল, অজ্ঞতাও ছিল।
তৃষ্ণা ছিল দিগন্তের, অসীমের।
অসীমের সংজ্ঞার্থ নিয়ে বিজ্ঞানীর মতো আমিও ভেবেছি।

ব্যর্থতা নতুন কিছু নয়, আমার বেশ পরিচিত
আমি ওর স্বভাব-চরিত্র জানি।
এড়াতে চাইলেই কি সব এড়ানো যায়?
দিগন্ত দেখার জন্য আমি ছোটবেলায় পায়ে ফোস্কা নিয়ে

সাত মাইল দূরের নদী দেখতে যাইনি?
কাদা পেরোইনি?- যাকে বলে লোদ বা ভেদর।
আছাড়-পিছাড় খেতে-খেতে আমিও তো তুষার মাড়িয়ে এসেছি।

ব্যর্থতা হয়তো আমাকে একটু বেশি ভালোবাসে,
আমারই প্রতি ওর একতরফা পক্ষপাত আগেও দেখেছি।
দিগন্তকে বুকে নিয়ে আমি তার প্রতিদান দেবো।

কবিতার নামঃ  অধিকার
লেখকের নামঃ  মুস্তফা হাবীব

ভোরের কা কা শব্দের ব্যঞ্জনায় কালো কাকগুলো
রোজ মানুষকে বিব্রত করে, তৈরি আইনের ফাঁদে ফেলে
দখলে রাখতে চায় জমকালো বিছানা।

পচা জলাশয়ে জন্ম নিয়ে পদ্মফোটা জলের কীর্তন গায়
সকাল-সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাচারী-বিপথগামীদের
তর্জন গর্জন শুনে মানুষ শঙ্কিত, বাকরুদ্ধ- বিমূঢ়।

ওরা বিরাম চিহ্নের সত্যতা অস্বীকার করে,
চিরপতনের অগ্রিম সুর-সংকেত শুনেও অসত্য ধারায়
অবিশ্রাম উত্থানের ফানুস উড়ায় অনীল আকাশে।

মানুষ বুঝে গেছে এসবই ভেলকিবাজ,তখতে তাউস;
এখন একটাই নিঃশর্ত বাসনা
আঠারো উত্তীর্ণ প্রতিটি মানুষ প্রতিষ্ঠা করবে অধিকার;
মানুষ চায়, মাটির নির্যাসে সমান অংশীদারিত্ব
ফুলের বাগান থেকে তাড়াতে বিষাক্ত জলফড়িং।

আমিও চাই, সত্য ও সুন্দরের অনির্বাণ আভায়
আকাশ থেকে সরে যাক ভয়াল কালো অজগর।
আমিও চাই জনমানুষের নিরঙ্কুশ বিজয়ে স্বাধীন স্বদেশ।

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি

কবিতা আবৃতি করার জন্য সহজ ভাষায় লেখা ও ছোট আকারে লেখা আছে এমন কবিতা সংগ্রহ করতে হবে। বিজয় দিবস নিয়ে অনেক কবি ছোট ছোট কবিতা লিখেছেন। সেগুলো ছোটরাও আবিতি করতে পারবে। এখানে বিজয় দিবসের ছোটদের কবিতা আবৃত্তি গুলো দেওয়া হয়েছে।

সময়ের মূল্য
রুস্তম আলী

এক মিনিটের অবজ্ঞায় দেহের একটি অঙ্গ গুড়িয়ে যেতে পারে,
একটা জীবনও চলে যেতে পারে অকালে।
তেমনি এক মিনিটের নিমিত্ত দুর্ঘটনা থেকে একটি
মানুষ ফিরে পেতে পারে দেহের একটি অঙ্গ

কিংবা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে পুনর্জীবন।
আসলে আমরা এতটাই বিজ্ঞ যে, অর্থ-সম্পদ বাড়ি-গাড়ি
জমি-জায়গা সব কিছুরই মূল্য বুঝি
কিন্তু সময়ের মূল্য বুঝি না।

তুমি বাংলা ছাড়ো
আবদুল হাই শিকদার

রক্তচোখের আগুন মেখে
ঝলসে যাওয়া আমার বছরগুলো
আজকে যখন হাতের মুঠোয়
কণ্ঠনালীর খুনপিয়াসী ছুরি,

কাজ কি তবে আগলে রেখে বুকের কাছে
কেউটে সাপের ঝাঁপি!
আমার হাতেই নিলাম আমার
নির্ভরতার চাবি;

তুমি আমার আকাশ থেকে
সরাও তোমার ছায়া,
তুমি বাংলা ছাড়ো।
তুমি আমার বাতাস থেকে

মোছো তোমার ধুলো,
তুমি বাংলা ছাড়ো।
কাজ কি দ্বিধার বিষণœতায়
বন্দি রেখে ঘৃণার অগ্নিগিরি!

আমার বুকেই ফিরিয়ে নেবো
ক্ষিপ্ত বাজের থাবা;
তুমি আমার জলস্থলের
মাদুর থেকে নামো,

তুমি বাংলা ছাড়ো।
ঘাতক, তুমি বাংলা ছাড়ো।

১৬ ডিসেম্বর কবিতা
ফারহান বিল্লাহ

তপ্ত গরম
যুদ্ধ চরম
যেই দিনে ,

গর্জে ওঠে লক্ষ হাত
পেতে দিল বক্ষ হাত ।
যোদ্ধা বেশে
যুদ্ধ শেষে

তোমরা যারা রাঙলা দেশ.
বিজয় দিয়ে বাংলাদেশ ।
করছি বরণ
করছি স্মরণ
এই দিনে ।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা

এখানে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা শেয়ার করা হয়েছে। যেগুলো আবৃতি করতে পারবেন। এই কবিতা গুলো যেমন ছোট তেমন পড়তে অনেক সহজ লাগে। ছোটদের জন্য কবিতা গুলো অনেক ভালো হবে।

ষোলোই ডিসেম্বর
মঈন মুসতাকিম

দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ শেষে
স্বাধীন হলো দেশ
স্বাধীন হলো সাজানো এই
শ্যামল পরিবেশ।

কেউ হারাল সতীত্ব আর-
কেউ ঝরাল ঘাম
বীর শহীদের রক্ত হলো
স্বাধীনতার দাম।

দেশ বাঁচাতে জীবন দিল
লক্ষ নারী-নর
আমরা পেলাম বিজয়মাখা
ষোলোই ডিসেম্বর।

স্বাধীনতার ছড়া
আকরাম সাবিত

যুদ্ধ করেছিলাম বলেই
পেলাম স্বাধীনতা-
হাসতে পারি
ভাসতে পারি

বলতে পারি কথা।
পড়তে পারি
লড়তে পারি
অনেক কিছু করতে পারি ভাই-

যুদ্ধে শামিল হয়েছিলাম তাই।
ইচ্ছে হলেই এক বিকেলে
ফাগুন এলে
পালক মেলে

বিজয় তুমি
ফয়েজ হাবীব

বিজয় তুমি সুখের ভূমি
বীর বাঙ্গালির অন্তরে
স্বাধীন টানে গানে গানে
উঠলো গেয়ে মনতো রে ।

বিজয় প্রেমে বিজয় ফ্রেমে
নীল আকাশে সবুজ লাল
বিজয় পেয়ে হেসে গেয়ে
সামনে চলার মুক্ত পাল ।

বিজয় বোধে প্রতিরোধে
হঠাৎ জালিম পিছুটান
রক্তে লেখা বিজয় দেখা
বিলীন হওয়া কিছু মান ।

প্রাণের বিজয় আহা কী জয়
বীর বাঙ্গালির গর্ব ধন
ডিসেম্বরে একাত্তরে
পাক বাহিনীর খর্ব মন ।

মহান বিজয় দিবসের কবিতা

খোকার জন্য
শরিফ আহমাদ

লড়াই শুরুর প্রথম দিকে
বের হয়েছে খোকা
মাকে দিয়ে ধোঁকা ।
বলে গেছে খেলা শেষে

আসবো‌ দ্রুত ফিরে
ভালোবাসার নীড়ে ।
কিন্তু খোকা আর আসেনি
মা-টা খোকার শোকে

আজ দেখে না চোখে ।
পাগল হয়ে ঘুরে বেড়ায়
খোকার তালাশ করে
আয় খোকা আয় ঘরে ।

স্বাধীনতার সূর্য
শরিফ আহমাদ

দেশ হয়েছে মুক্ত স্বাধীন
ঐ আকাশে তা-ধিন তা-ধিন
বিজয় নিশান ওড়ে
দেশদ্রোহীদের আত্মা কিছু

ছদ্মবেশে ঘোরে ।
ওরাই করে পুকুর চুরি
ইয়া মোটা বানায় ভুরি
ওরাই খাদ্যে ভেজাল মেশায়

মানুষ বানায় রোগী
হাজার ভুক্তভোগী ।
ওরাই করে জুলুম ধর্ষণ
পাপের ভারে হয় না বর্ষণ

রহম আকাশ থেকে
দেশদ্রোহীদের চামচা কিছু
বিপদ আনে ডেকে।
ওদের সঠিক বিচার হলে

শান্তি আসবে দেশে
স্বাধীনতার সূর্য উঠবে
পূব আকাশে হেসে ।

নির্মলেন্দু গুণের বিজয় দিবসের কবিতা

স্বাধীনতা শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো
-নির্মলেন্দু গুণ 

কটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে কখন আসবে কবি?

এই শিশুপার্ক সেদিন ছিল না, এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না
তাহলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
তাহলে কেমন ছিল শিশু পার্কে বেঞ্চে বৃক্ষে ফুলের বাগানে
ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি?

কবি নির্মলেন্দু গুণ – স্বাধীনতা শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো । কবিতা সংগ্রহ
কবি নির্মলেন্দু গুণ
জানি, সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত
কালো হাত। তাই দেখি – কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি,
মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ……।

হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
শিশুপার্কের রঙ্গিন দোলনায় দোল খেতে খেতে – তুমি
একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প
সেদিন এই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর।
না পার্ক না ফুলের বাগান- এসবের কিছুই ছিলনা,

শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সে দিগন্ত প্লাবিত
ধু ধু মাঠ ছিল – দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়।
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে।

কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক।
হাতের মুঠোয় মৃত্যূ, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্ন মধ্যবিত্ত – করুণ কেরাণী – নারী – বৃদ্ধ – বেশ্যা – ভবঘুরে
আর তোমাদের মতো শিশু – পাতা কুড়ানীরা দল বেঁধে।

একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্য কী ব্যাকুল
প্রতীক্ষা মানুষের : কখন আসবে কবি? কখন আসবে কবি?

শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে – জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।

শেষ কথা

বিজয় দিবসের সকল ধরনের কবিতা এই পোস্টে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। বিজয় দিবসের বিখ্যাত কবিতা, ছড়া কবিতা ও বিজয়ের কবিতা আবৃতি এই পোস্ট থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। এই রকম দিবস সম্পর্কিত ও সুন্দর সুন্দর কবিতা পড়তে আমার সাথেই থাকুন।

আরও দেখুনঃ

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা মেসেজ, এস এম এস ও স্ট্যাটাস ২০২৪

বিজয় দিবস কবে ২০২৪ – ১৬ই ডিসেম্বর আজ মহান বিজয় দিবস