বিজয় দিবস রচনা ২০০ শব্দ -১৬ই ডিসেম্বরের রচনা প্রতিযোগিতা

বিজয়ের মাসে একবার বিজয় দিবস পালন করা হয়। এটি হচ্ছে ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে। এই দিনে শহিদের সম্মান জানানো হয় এবং পুরানো ইতিহাসকে তুলেধরা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতা করা হয়। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে পুরস্কিত করা হয়ে থাকে। যারা বিজয় দিবস সম্পর্কে ভালো রচনা লিখতে পারে তারাই এই পুরস্কার গ্রহণ করার সুযোগ পায়। অনেক সময় রচনা প্রতিযোগিতায় সীমাবদ্ধতা উল্লেখ থাকে। যেমন বিজয় দিবস রচনা ২০০ শব্দ বা ৫০০ শব্দ ইত্যাদি।

যখন যেভাবে রচনা লিখতে বলবে বিজয় দিবস নিয়ে ওইরকম ভাবে রচনা লিখতে হবে। ১৬ই ডিসেম্বরের রচনা প্রতিযোগিতা হিসবে অনেক সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা লিখতে বলা হয়। আজকে বিজয় দিবসের রচনা, ১৬ই ডিসেম্বরের রচনা, ২০০, ৫০০ ০ ১০০০ শব্দের রচনা লিখে দিয়েছি। ক্লাস ওয়ান থেকে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এই রচনা টি লিখতে পারবেন।

রচনা লেখার নিয়ম ২০২৪

রচনা লিখলেই হবে না। পুরস্কার পেতে চাইলে রচনা লিখতে হবে সকল নিয়ম অনুসরণ করে। রচনা লেখার সময় কিছু নিয়ম ফলো করতে হয়। যেগুলো আপনার রচনায় উল্লেখ করতে হবে। নিচে সেগুলো দেওয়া আছে।

ভূমিকা/ সূচনাঃ রচনা টি কি সম্পর্কে প্রথমে সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু লিখবেন। যেমন বিজয় দিবস হলে বিজয় দিবস। বঙ্গবন্ধু হলে বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি।

পয়েন্টঃ রচনা সম্পর্কে ৪, ৫ টি প্রধান পয়েন্ট রাখতে হবে। বিজয় দিবসের অনেক গুলো পয়েন্ট আছে। সেগুলো থেকে ৪ বা ৫ টি পয়েন্ট সিলেক্ট করুন। সেই পয়েন্ট গুলোতে ৪ থেকে ৫ টি করে লাইন লিখুন।

উপসংহারঃ এখানে রচনা টি শেষ হবে। রচনা থেকে কি জানলেল বা কি শিখলেন সেই বিষয় গুলো ছোট আকারে লিখুন। এখানে ৩ থেকে ৪ টি লাইন লিখে রচনা টি শেষ করতে পারেন।

উপকারিতা/ অপকারিতাঃ অনেক রচনার ভালো দিক ও খারাপ দিক থাকে। সেই রচনা গুলোতে উপকারিতা/ অপকারিতা ব্যবহার করতে পারেন। রচনার ভালো দিক থাকলে উপকারিতা হিসেবে ৩ থেকে ৪ টি লাইন লিখবেন। অথবা অপকারিতা লিখে দিতে পারেন।

বিজয় দিবস রচনা ২০০ শব্দ

সূচনাঃ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে জয় লাভ করে। এর ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে সারা বাংলাদেশে বিজয় দিবস পালন করা হয়। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে বাংলাদেশ চূড়ান্ত ভাবে স্বাধীনতা অর্জন করে। এরপর থেকে ১৬ ই দিস্মবর কে বিজয় দিসব হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই দিনে জাতী, ধর্ম, বর্ণ সকলে মিলে বিজয় উল্লাস উদযাপন করে।

বাংলাদেশ কিভাবে বিজয় অর্জন করেছেঃ

বর্তমানে বাংলাদেশ ৫২ বছর ধরে স্বাধীনতা লাভ করেছে। স্বাধীনতার ৫২ বছরের পুর্তি হয়েছে। বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে। যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের সাথে দির্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করেছিলো। এই যুদ্ধের পর তারা আমাদের কাছে পরাজিত হয়। এরপর পাকিস্তানিরা ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর একটি দলিলে সই করে আন্তসমর্পন করে। এই যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে। এরপর শুরু হয়ে বিজয় দিবসের উল্লাস।

কারা বাংলাদেশ কে বিজয় উপহার দিয়েছেঃ

বাংলাদেশে রয়েছে নানা জাতের মানুষ। তবে এই যুদ্ধে সবার সমান সমান কর্তব্য ছিলো। বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এছাড়া কৃষক, শ্রেমিক, ছাত্র-জনতা তাড়াও স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অংশ ছিলো। বাংলাদেশের নারীরাও সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং অন্যান্য ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের অনেক বুদ্ধিজীবীরা নানা ভাবে সাহা করে, যার ফলে তাড়াও প্রাণ হারায়। বাংলার দামাল ছেলেরা যুদ্ধে নেমেছে এবং বাংলার মায়ের বুক খালি হয়েছে। প্রায় ৩০ লাখ বাঙ্গালির প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। বিজয় দিবস অর্জনে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে এবং তারা শহিদ হয়েছে।

বিজয় দিবসের তাৎপর্যঃ

বিজয় প্রতি জাতীর জন্য কল্যাণ স্বরূপ। আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরে খুব গর্বিত। এই স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙ্গালিরা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ কে উপস্থাপন করেছে। সারা বিশ্বকে দেখিয়েছেন কিভাবে দেশ কে ভালবাসতে হয়। দেশের জন্য কিভাবে কাজ করতে হয়। শুধু দেশকে ভালবাসলেই হবে না, তার জন্য নিজের জীবন দিতেও হবে। বাংলাদেশের মানুষ কোনো জাতিক ভয় করেনি যার ফলে আজ স্বাধীন হতে পেরেছেন। পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ কে তারা সম্মান ও অনন্য স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

উপসংহার

আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। এই স্বাধীনতার পিছনে যারা শ্রম দিয়েছে তারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধা। তাদের অবদানে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। তারা যুধ করেছিলোই বলে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করেছে। তাদের আমরা কখনো ভুলব না। আমাদের কে বিজয় দিবস উদযাপন করতে হবে। এই বিজয় দিবসে সকল ইতিহাস জেনে তাদের মতো আমাদের কে দেশপ্রেমে ভ্রত হতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বিজয় দিবসের পুর্বের ইতিহাস গুলো তুলে ধরতে হবে। তাড়াও জেনো দেশপ্রেমে যুক্ত হতে পারে।

১৬ই ডিসেম্বরের রচনা প্রতিযোগিতা

এই দিনে অবশ্যই রচনা প্রতিযোগিতা হবে। আপনারা উপরে দেওয়া রচনা টি সেখানে লিখতে পারেন। অথবা রচনা টি পড়ে কিভাবে বিজয় দিবসের রচনা লিখতে হয় তার ধারনা নিবেন। এই রচনা টি ছোট আকারে দেওয়া হয়েছে। ছোট ছেলেমেয়েরাও রচনাটি খুব সহজে পড়তে পারবেন। মহান বিজয় দিবসে রচনা প্রতিযোগিতায় এভাবে ২০০ বা ৫০০ শব্দের রচনা লিখতে হবে।

আরও দেখুনঃ

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃতি ও ছোটদের কবিতা