তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত আরবিতে

রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে তারাবির নামাজ পড়া। নামাজের শুরুতে নিয়ত পড়তে হবে। সাধারণ ফরজ বা সুন্নত নামাজের মতো তারাবির নামাজের আলাদা নিয়ত আছে। এই নিয়ত পড়ে নামাজের নিয়ম অনুসারে তারাবির নামাজ পড়তে হবে। নামাজ শেষে একটিদোয়া পড়ে মোনাজাত করতে হবে। সাধারণত তারাবির নামাজ ২০ রাকাত। চাইলে ৮ রাকাত পড়া যাবে। সর্বনিম্ন ৮ রাকাত পড়তে হয়। তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত আরবিতে দেওয়া হয়েছে। সাথে বাংলা উচ্চারন ও বাংলা অর্থ জানতে পারবেন।

তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত আরবিতে

তারাবির নামাজ সুন্নাত। এশার ফরজ নামাজ আদায় করার পর তারাবির নামজ পড়তে হবে। তবে এশার নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিতরের নামাজ পড়বেন না। চাইলে ২ বা ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়া যাবে। এশার নামাজ শেষে তারাবির নামাজের জন্য নিয়ত করতে হবে। তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলায়ঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَ। 

অর্থ : আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।

রোজা রাখার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

যদি কোনো ব্যাক্তি বাংলা উচ্চারণেও মাধ্যমে নিয়ত না করতে পারে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। সে বাংলা ভাষায় নিজের মতো করেও নিয়ত করতে পারবেন। নিয়ত টি হবেঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে (জামাত হলে- এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার। এই ভাবেও নিয়ত করার বিধান আছে। দুই রাকাত করে তারাবির নামাজ পড়া হয়। ৪ রাকাত শেষে একটু বিশ্রাম নেওয়া হলেও, সেখানে অনেকে দোয়া পড়ে।

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

তারাবির নামাজের দোয়া

৪ রাকাত তারাবির সুন্নাত নামাজ শেষে বিশ্রামকালে একটি দোয়া পড়া হয়। এছাড়া নামাজ সেসেও অনেকে এই দোয়াটি পড়ে। তাই সবাইকে তারাবির নামাজের দোয়া পড়তে হবে এবং জানতে হবে। সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ। এটি হচ্ছে তারাবির নামাজের দোয়া।  প্রতি ৪ রাকাত নামাজ শেষে সকলে এই দোয়া পড়ে।

রোজা রাখার নিয়ত ২০২৪। সেহরি ও ইফতারের দোয়া

তারাবির নামাজের মোনাজাত আরবিতে

২০ রাকাত নামাজ শেষে মোনাজাত করতে হবে। এই মোনাজাতে একটি দোয়া পড়া হয়। শুধু ২০ রাকাত নয়, আপনার ইচ্ছামতো যে কয় রাকাত সম্ভব নামাজ আদায়ের পর এই মোনাজাত করা যাবে। তারাবির নামাজের মোনাজাত আরবিতেঃ اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

রোজা খোলার দোয়া – ইফতারের নিয়ত

শুধু আরবিতে নয়, বাংলা উচ্চারণ দেখে দেখেও তারাবির নামাজ এর মোনাজাত করা যাবে। যারা আরবি ভাষা বুঝেন না ভা জানেন না তারা নিচে দেওয়া তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা উচ্চারন্সহ দেখেনিন।

আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

শেষ কথা

রমজান মাসের রোজা ফরজ ইবাদত। আর তারাবির নামাজ হচ্ছে সুন্নাত ইবাদত। তবে রোজা রাখলে অবশ্যই তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে। তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়তে হয়। যেকোনো রাকাত শেষে উক্ত দোয়া ও মোনাজাত করতে পারবেন। বাড়িতে একা একা তারিবির নামাজ পড়লে এখানে দেওয়া নামাজের নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত টি পড়তে হবে। মেয়েদের জন্যও একই ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে এবং দোয়া পড়া লাগবে। তাদের জন্য আলাদা কোনো তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত নেই।

আরও দেখুনঃ

রোজা রাখার নিয়ত বাংলা ২০২৪

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি? যে সব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়