বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর মানুষ বিদেশে যায়। এই তালিকাতে কুয়েত আছে, যেখানে বাংলাদেশি প্রবাসী চাকরি করে। এখানে আছে নানা ধরনের কোম্পানি। পার্থিদের চাকরির যোগ্যতা অনুযায়ী কুয়েতের কোম্পানি গুলোতে লোক নেওয়া হয়। এজন্য প্রতি বছর কুয়েত সরকার বা কোম্পানি গুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিসার জন্য নিয়োগ দেয়। এই নিয়োগে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আজকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়া এখান থেকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা 2023 কি কি ভিসা পাওয়া যাবে, কুয়েত ভিসার দাম কত ও এখানে কোন কোম্পানির কাজের চাহিদা বেশি তা জানতে পারবেন। কিভাবে ভিসা পাবেন এবং আবেদনের সম্পূর্ণ প্রসেস এখানে দেওয়া আছে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
বিশ্বের ধনী দেশ গুলোর মধ্যে কুয়েত একটি। এই দেশে প্রতি বছর বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে তাদের বিভিন্ন কোম্পানি গুলোতে চাকরির সুযোগ পেয়ে থাকে। কোম্পানি ভিসা বানিয়ে আবেদনের মাধ্যমে এখানে চাকরি নিতে হবে। এই কোম্পানির উপর ভিত্তি করে এদের কে বেতন নির্ধারন করে দেওয়া হয়। অনেক কোম্পানিতে তারা ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়।
কোম্পানি | বেতন | |
শ্রমিক হেল্পার | ৩৫৭২২ | |
ডেলিভারি বয় | ৪৪৬৫২ | |
এসি মেকানিক | ৪৮২২৪ | |
ইলেকট্রিশিয়ান | ৪৪৬৫২ | |
ড্রাইভিং | ৪৮২২৪ | |
প্লাম্বার | ৩৯২৯৪ | |
ওয়েল্ডার | ৩৯২৯৪ |
কুয়েত কোম্পানি ভিসা ২০২৪
কুয়েতে এছাড়া আরও কয়েক ধরনের কোম্পানি আছে। যেগুলোতে চাকরি পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে। যারা বিভিন্ন কোম্পানির কাজের জন্য পড়াশুনা শেষ করেছে তারাই কেবল এখানে আবেদন করতে পারে। তাদের কে ৬০ থেকে ৮০ হাজাত টাকা বেতন দেওয়া হয়। চাকরি পেতে আপনার শিক্ষাগত অর্জন গুলোর ডকুমেন্ট লাগবে। এই কোম্পানি গুলো উচ্চমানের কোম্পানি হয়ে থাকে। যার কারণে এদের বেতন অনেক বেশি।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েতে কোম্পানি ভাবে অনেক ধরনের চাকরি পাওয়া যায়। এদের শিল্প কারখানায় শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এই কোম্পানিতে তাদের কে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন নির্ধার করে দেওয়। এই দেশে কিছু কাজ আছে যেগুলো সব সময় পাওয়া যায় এবং কাজের বেতন ও মান অনেল ভালো। এখান থেকে কাজ করে ৪০ থেকে ৪৫ হাজাত টাকা বেতন পাওয়া সম্ভব। তবে কাজের জন্য আগে থেকে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- ড্রাইভিং
- ফুড সার্ভিসিং
- রেস্টুরেন্ট
- হোটেল
- পার্ক
- কন্সট্রাকশন
- টেকনিশিয়ান
- ক্লিনার
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- দোকান
কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম কত
প্রতি টি দেশের জন্য ভিসা এক ধরনের ডকুমেন্ট। ইথিকাল ভাবে বিদেশ যেতে প্রয়োজন হয় ভিসার। আর ভিসার জন্য লাখ লাখ টাকা লাগে। কুয়েতে অনেক ক্যাটাগরির ভিসা আছে। যেগুলোর দাম ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে কোম্পানি ভিসার দাম ৮ লাখ টাকা। অনেক সময় সরকারি ভাবে এই ভিসা পাওয়া যায়। তখন ৬ লাখের মতো লাগে। এছাড়া তাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানি গুলো শ্রমিকের জন্য বাংলাদেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাদের এই নিয়োগের মাধ্যমে আবেদন করতে ৭ লাখ টাকা খরচ হবে। বাংলাদেশে অনেক গুলো ভিসা এজেন্সি আছে। তারা কোম্পানি ভিসায় কুয়েতে লোক পাঠায়। ভালো ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে ৭ লাখ টাকায় এই ভিসা গুলো পাওয়া যাবে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
এক দেশে থেকে অন্য দেশে যেতে শুধু যে ভিসার খরচ হবে এমন নয়। ভিসা ছাড়াও আরও অনেক ধরনের খরচ থাকে। একটি ভিসা বানাতে প্রায় ৮ লাখ টাকা লাগে। এছাড়া পাসপোর্ট ও বিমানের টিকিট প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমান ভাড়া ২ লাখ থেকে ৩ লাখ ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে কুয়েত কোম্পানি ভিসায় যেতে ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা প্রয়জপন হবে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদনের নিয়ম
ভিসার জন্য কিছু ডকুমেন্ট লাগে। সেগুলো সংগ্রহ করা থাকলে আবেদন করতে পারবেন। কুয়েতের যেকোনো ভিসা অনলাইনে আবেদন করা যায়। এজন্য ঐ দেশের একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে। https://kuwait.mofa.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়েবসাইট টি ব্যবহার করে কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদনের নিয়ম দেখানো হয়েছে।
শেষ কথা
কোম্পানির উপর নির্ভর করে আপনাদের কে বেতন দেওয়া হবে। অনেক কোম্পানি আছে যারা শুরুতে কম বেতন দিয়ে থাকে। এরপর বছর যেতে যেতে বেতনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কোম্পানি ভিসায় কুয়েত যেতে ভালো একটি ভিসা এজেস্নির সাথে যোগাযোগ করে নিবেন। আসা করছি এই পোস্ট থেকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ও ভিসার দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ
কানাডা কৃষি ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪