বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক বন্ধ ২০২৪

আমাদের দেশে ১০ টি চিড়িয়াখানা আছে। যার মধ্যে একটি জাতীয় চিড়িয়াখানা। এটি ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দ্বারা এই চিড়িয়াখানা পরিচালিত করা হয়। ১৯৫০ সালে হাইকোর্ট চত্বরে বিভিন্ন জীবজন্তুর পরিদর্শন করা হয় এখানে। এরপর ১৯৭৪ সালে এটি স্থানান্তরিত করে চিড়িয়াখানা উদ্বোধন করে। বছরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করতে আসে।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে ঢাকা চিরিয়াখানাকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা নামকরণ করা হয়। এরপর থেকে সারা দেশে এই চিড়িয়াখানা জনপ্রিয়য় হয়ে উঠে। এখানে বছরে ৩৭.৫ মিলিয়ন টাকা বাজেট করা হয়। সকল প্রাণীদের জন্য খরচ হয় ২৫ মিলিয়ন টাকা। সাপ্তাহিক ও মাসিক ৪ দিন বন্ধ থাকে এটি। চিড়িয়াখানায় ভিতরের যাওয়ার জন্য প্রবেশ মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। এর টিকিটের দাম, সময় সূচি ও কোথায় অবস্থিত এই সকল বিস্তারিত জেনে নিন এই পোস্ট থেকে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

দেশের ১০ টি চিড়িয়াখানার মধ্যে ঢাকা চিরিয়াখানাকে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মূল কারণ এখানে অন্যান্য চিড়িয়াখানা থেকে অনেক উন্নত। এছাড়া এই চিড়িয়াখানায় সকল ধরনের প্রাণী পাওয়া যায়। যা অন্য যেকোনো চিড়িয়াখানায় গেলে দেখা যাবে বেশিরভাগ জীবজন্তু নেই। এছাড়া এটি দেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণ প্রিয় মানুষ চিড়িয়াখানা দেখতে আসে। এর ভিতরের প্রবেশের জন্য টিকিট কাউন্টার থেকে ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হয়।

১৯৪৭ সালে ঢাকায় সরকারী পর্যায়ে একটি চিড়িয়াখানা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হয়। পঞ্চাশের দশকে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে সীমিত পরিসরে চিত্রা হরিণ, হাতি, বানরসহ কয়েকটি প্রজাতির বন্যপ্রাণী নিয়ে চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু হয়।১৯৬০ সালের মিরপুর এলাকায় চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠাকল্পে একটি মহাপরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ১৩৭ টি খাঁচায় ২৩৭ প্রকোষ্ঠের মধ্যে রক্ষিত ১৩৫ প্রজাতির ৩৩৪২ টি প্রাণী ও এ্যাকুরিয়াম ফিস প্রদর্শিত হচ্ছে| উদ্দেশ্য জনসাধারণের বিনোদন, দূর্লভ ও বিলুপ্ত প্রায় বন্য প্রাণী সংগ্রহ ও প্রজনন, প্রাণী বৈচিত্র সংরক্ষণ, শিক্ষা, গবেষনা এবং এ বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি চিড়িয়াখানা স্থাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

জাতীয় চিড়িয়াখানা কবে বন্ধ থাকে- সাপ্তাহিক বন্ধের তালিকা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা কোথায় অবস্থিত

ঢাকার রাজধানী  হতে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে মিরপুরে এক মোনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ১৮৬.৬৩ একর জায়গা জুড়ে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা অবস্থিত। এটি ঢাকা মিরপুর-২ নাম্বার সেক্টরে অবস্থিত। ঢাকার অন্যান্য সেক্টর থেকে যেতে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগে। অনেক সেক্টর থেকে ২ মিনিট লাগে। এটি রাস্তার পাশে অবস্থিত থাকায় খুব সহজে গাড়ি নিয়ে সরাসরি যাওয়া যায়।

জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে যা যা জানা যাবে

১. বিনোদন: মানুষের চেনা ও জানার আগ্রহ একটি স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। বিশেষ করে শিশুদের বন্য প্রাণীকে স্ব-চক্ষে দেখা ও তাদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ শিশু চরিত্রের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এছাড়া সকল বয়সের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে বন্য প্রাণীদের প্রতি আকর্ষণ ও তাদেরকে স্ব-চক্ষে দেখা ও জানার আগ্রহ একটি অতি চিত্তাকর্ষণ বিনোদন। চিড়িয়াখানা বন্যপ্রাণীদরে সংগ্রহ করে প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করে।

২.দূর্লভ ও বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী সংগ্রহ ও প্রজনন: যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার কারণে জীব-বৈচিত্র হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মানুষের বাসস্থান নির্মাণ, শিল্প কারখানা স্থাপন ও বিভিন্ন কারণে কাঠ সংগ্রহ বৃদ্ধির ফলে দিন দিন বনজঙ্গল উজাড় হচ্ছে। ফল স্বরূপ বন্যপ্রাণীর আহার ও বাসস্থান সংকুচিত হচ্ছে। অনেক বন্যপ্রাণী ইতোমধ্যে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ ও হুমকিতে থাকা ও বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে চিড়িয়াখানায় সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের প্রজনন করানো হয় এবং প্রাণীটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা হয়।

৩. প্রাণী বৈচিত্র সংরক্ষণ: বন্য প্রাণীদের আবাসস্থল দিন দিন সংকুচিত হওয়ার কারণে তাদের প্রাকৃতিক স্বাভাব-চরিত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চিড়িয়াখানায় প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে এ প্রাণী বৈচিত্র সংরক্ষণ করা হয়।

৪. শিক্ষা: চিড়িয়াখানায় বন্য প্রাণীদের পরিচিতি যেমন-বিস্তৃতি, আকার-আকৃতি, স্বভাব-চরিত্র, বাসস্থান ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতিতে অবস্থান, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, প্রজনন, জীবনকাল প্রভৃতি বর্ণনার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ও দর্শণার্থীদের প্রাণীদের সর্ম্পকে প্রাথমিক জ্ঞান প্রদান করা হয়।

৫.গবেষণা: চিড়িয়াখানায় সংরক্ষিত বন্য প্রাণীদের নিয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজ সম্পাদিত হয়।

৬.গণসচেতনতা বৃদ্ধি: বন্য প্রাণীদরে প্রতি সদয় আচরণ ও তাদের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি মানুষের একটি সামাজিক আচরণ হওয়া উচিত। চিড়িয়াখানা বন্য প্রাণীদের প্রতি জীব কল্যানের এ শিক্ষাটি দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক বন্ধ

সপ্তাহের প্রায় ৬ দিন খোলা থাকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। এর মাঝে মাত্র ১ দিন বন্ধ থাকে এটি। প্রতিদিন অনেক দর্শক এখানে বেড়াতে আসে। প্রতি শুক্রবারে চিড়িয়াখানাটি খোলা থাকে এবং এই দিনে প্রচুর ভিড় জমে। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার। প্রতি রবিবারে ঢাকার এই জাতীয় চিড়িয়াখানাটি সাপ্তাহিক বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া প্রায় প্রতিদিন খোলা পাবেন। মাসে মাত্র ৪ দিন চিড়িয়াখানাটি বন্ধ থাকে।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য ২০২৪

চিড়িয়াখানায় একটি প্রদান গেইট আছে। এই গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশের পূর্বে টিকিট সংগ্রহ করে গেইট দিয়ে চিড়িয়াখানার ভিতরে যেতে হবে। বিনা টিকিটে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ২০২৪ সালের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। প্রতিজনের জন্য এটি নির্ধারিত। ২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের কোনো প্রকার টিকিট লাগে না। কিন্তু বাচ্চার বয়স ২ বছরের বেশি হলে তার জন্য টিকিট প্রয়োজন হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০% ছাড়। তারা ২৫ টাকা দিয়ে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য তাদের ডকুমেন্ট থাকতে হবে।

জাতীয় চিড়িয়াখানার টিকিটের দাম কত

এখানে প্রবেশের জন্য মাতৃ একবার টিকিট ক্রয় করতে হয়। তবে একবার ভিতরে যাওয়ার পড়ে আবার ফিরে আসলে তাহলে আপনাকে পুনরায় টিকিট ক্রয় করে ভিতরে যেতে হবে। তাই বিশেষ কারণে ২ বা ১ মিনিটের জন্য চিড়িয়াখানার বাইরে আসতে হলে সেখানে থাকা কর্মকর্তাদের কে জানিয়ে বা তাদের সাথে কথা বলে নিবেন। তাহলে হয়তো পুনরায় টিকিট ব্যাতিত প্রবেশ করতে দিবে। জাতীয় চিড়িয়াখানার টিকিটের দাম ২ বছরের অধিক বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা। বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫ টাকা। এছাড়া চিড়িয়াখানার ভিতরে একটি যাদুঘর আছে, যার টিকিটের দাম ১০ টাকা। এখানেও সকলের জন্য আলাদা টিকিট প্রয়োজন হবে। বাচ্চার বয়স ২ বছরের কম হলে টিকিট প্রয়োজন হবে না।

জাতীয় চিড়িয়াখানা সময় সূচি

নির্ধারিত এক সময়ে চিড়িয়াখানায় খোলা হয় এবং বন্ধ করা হয়। শীতকালে অন্যান্য সময়ের ১ ঘণ্টা আগে চিড়িয়াখানা বন্ধ করা হয়। রাতে চিড়িয়াখানা খোলা থাকে না। সপ্তাহে ৬ দিন এবং মাসে ২৬ দিন চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন।

  • গ্রীষ্মকালীন —— ১ লা এপ্রিল থেকে ৩০ শে সে্প্টেম্বর —– সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা
  • শীতকালীন —— ১লা অক্টোবর থেকে ৩১ শে মার্চ —— সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার নির্দেশনা

এখানে কিছু নিয়ম ও নির্দেশনা দেওয়া আছে। জাতীয় চিড়িয়াখানায় কি কি কাজ করা যাবে  বা কি কি কাজ করা যাবে না তার তালিকা দেওয়া আছে। নিচে থেকে দেখেনিন চিড়িয়াখানায় করনীয় ও বর্জনিয় কাজ কি কি।

চিড়িয়াখানায় যা করণীয়:
  • ময়লা, আবর্জনা, পলিথিন ও খাদ্যের উচ্ছিষ্ট অংশ নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলুন।
  • চিড়িয়াখানার প্রাণীদের প্রতি সদয় হোন।
  • চিড়িয়াখানার নিয়ম-নীতি মেনে চলুন, সূর্যাস্তের পূর্বেই চিড়িয়াখানা ত্যাগ করুন।
  • কর্মরত কর্মচারীদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন।
  • নিজে ও বাচ্চাদেরকে প্রাণী থেকে নিরাপদ দুরত্বে রাখুন, নিজেদের বাচ্চা হারানো থেকে সতর্ক হোন।
  • পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত“ময়ূরী ও ঈগল” রেঁস্তোরা সমূহ হতে সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
চিড়িয়াখানায় যা বর্জনীয়:
  •  চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে ধুমপান নিষেধ।
  •  সূর্যাস্তের পরে চিড়িয়াখানায় অবস্থান আইনতঃ দন্ডনীয়।
  • প্রাণীদেরকে ঢিল ছোঁড়া ও খোঁচা দিয়ে বিরক্ত করা সম্পূর্ণ নিষেধ; প্রাণীদের উত্যক্ত করবেননা ও খাবার দিবেন না।
  • নির্দিষ্ট টয়লেট ব্যতিত যেখানে সেখানে প্রস্রাব করা নিষেধ।
  • কোন অপরিচিত ব্যক্তি বা হকারদের নিকট হতে খাবার গ্রহণ করবেন না।
  • নির্জন, সংরক্ষিত এলাকা ও নিরাপত্তা বেষ্টনির ভিতরে প্রবেশ করবেন না ।
  •  অসামাজিক আচরণ হতে বিরত থাকুন।
  • চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে পোষাপ্রাণী, আগ্নেয়াস্ত্র, অগ্নি-উদ্দীপক দ্রব্য, লাঠি-সোটা ইত্যাদি বহন করা দন্ডনীয় অপরাধ।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা যোগাযোগের ঠিকানা

জাতীয় চিড়িয়াখানায় যোগাযোগের জন্য নাম্বার আছে। এছাড়া তাদের একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে। এই ওয়েবসাইট থেকে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। নিচে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা যোগাযোগের ঠিকানা ও নাম্বার সংগ্রহ করে দেওয়া আছে।

  • নামঃ Bangladesh National Zoo
  • ঠিকানাঃ  চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর, ঢাকা – ১২১৬
  • ফোন: +88 02 58053030
  • ওয়েবসাইট: www.bnzoo.org

শেষ কথা

বাংলাদেশে একটি জাতীয় চিড়িয়াখানা আছে। এটি ঢাকা মিরপুর ২ নাম্বারে পাওয়া যাবে। চিড়িয়াখানা ভ্রমণের মাধ্যমে জীবন্ত জীব-জন্তুকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়। এছাড়া এখান থেকে সকল জাতীয় পশু-পাখি দেখার সুযোগ হয়। অনেক বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের কে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে চিড়িয়াখানায়। যা প্রতিটি মানুষ ও শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি এই পোস্ট থেকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক বন্ধ- প্রবেশ মূল্য, সময় সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক বন্ধ কবে- প্রবেশ মূল্য ২০২৪ 

ঢাকা চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক বন্ধ কবে- দেখেনিন টিকিট কত ও সময় সূচি