রমজান মাসের ১ তারিখ থেকে প্রবিত্র রমজান মাস শুরু হয়। এই বছর এপ্রিল মাসের ১০ অথবা ১১ তারিখে রোজা শুরু হবে। চাঁদ দেখার উপর নির্চভর করে রোজার তারিখ প্রকাশ করা হবে। রমজান মাসে নামাজ ও রোজা রাখার মাধ্যমে ইবাদত করা হয়। রোজা রাখার জন্য কয়েকটি দয়া আছে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোটা নেই। সেহরি করার পর ও ইফতারের সময় এই দোয়া গুলো পড়তে হবে। রোজা রাখার দোয়া বাংলা উচ্চারণ দেওয়া আছে।
রোজা রাখার দোয়া বাংলা উচ্চারণ
রমাজ মাসে রোজা পালন করতে হয়। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী অনেক ধরনের দোয়া আছে। রোজা রাখার জন্য কোনো নির্দিষ্ট দোয়া নেই। যেহেতু সুবে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখা হয়, তাই সেহরি ও ইফতারের জন্য পড়ে রোজা রাখতে হবে। আর এই দোয়াকেই রোজা রাখার দোয়া বলা হয়। আরবি ভাষা না জানায়, অনেকে রোজার দোয়া গুলো পড়তে পারে না। এজন্য এখানে রোজা রাখার দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ দেওয়া আছে। বাংলা ভাষায় দোয়া পরেও রোজার জন্য দোয়া করা যাবে। তবে উচ্চারণ সহিহ ও শুদ্ধ হতে হবে।
রোজা রাখার দোয়াঃ নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারাক; ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাক্বব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসে তোমার পক্ষ থেকে ফরজ করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রোজা রাখার দোয়া
রমজান মাসের রোজা রাখার জন্য আরেকটি দোয়া আছে। রোজার রাখার সময় এই দোয়াটিও পড়া যাবে। এই দোয়া ইফতার করার পূর্বে পড়তে হবে। সাহরি খাওয়ার পর থেকে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় নিয়ত করা যেতে পারে। তবে, সাহরি খাওয়ার পর নিয়ত করা উত্তম। দোয়া টি পড়ে সঠিক সময়ে ইফতার শুরু করবেন। ইফতার করার পূর্বেরোজা রাখার দোয়া বাংলাঃ
আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া ‘আলা রিযক্বিকা আফতারতু, ফাগফিরলি ইয়া গাফুরুর রাহিম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখছি এবং তোমার রিযিক দিয়ে ইফতার করছি। হে ক্ষমাশীল দয়াময় আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করে দাও।
রোজা রাখার দোয়া সম্পর্কে হাদিস
মুসলমানদের সঠিক পথে চলার জন্য আল কুরআনে দিক নির্দেশোনা দেওয়া আছে। তবে পৃথিবীতে অনেক হাদিস শরিফ ও রয়েছে। এই হাদিস শরিফে পূর্বের মুসলমানরা যেভাবে ইসলামিক অনুষ্ঠান পালন করতো এই বিষয়ে বর্নিত আছে।
“প্রত্যেক আমলের নিয়ত আছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তির নিয়ত অনুযায়ী তার কর্মফল প্রদান করা হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
ব্যাখ্যাঃ এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, রোজা রাখার জন্যও নিয়ত করা জরুরি। নিয়ত মনে মনে করলেই যথেষ্ট, তবে জোরে জোরে পড়লে আরও ভালো।
“যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রোজার নিয়ত করেনি, তার জন্য সকালে নিয়ত করার কোন সুযোগ নেই।” (তিরমিযী)
“যে ব্যক্তি সাহরি খাওয়ার পর রোজার নিয়ত করে, তার জন্য পূর্ণ রোজার সওয়াব পাওয়া যাবে।” (আবু দাউদ)
শেষ কথা
মূলত সেহরি ও ইফতারের দোয়া পড়ার মাধ্যমে রোজা রাখার দোয়া পড়তে হবে। তাই আপনাদের কে সেহরি ও ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ জানতে হবে। রোজা রাখার দোয়া বাংলা উচ্চারণ শেয়ার করেছি। এই দোয়া গুলো রোজা রাখার জন্য পড়বেন। সাথে হাদিস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিবেন।
আরও দেখুনঃ