মার্চ মাসের ১০ তারিখ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজনা মাসে রোজা রাখতে হয়। সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করতে হয়। মাগরিবের আযানের সাথে সাথে ইফতার খুলে রোজা সম্পূর্ণ করতে হবে। ইফতারের সময়ে দোয়া করা ইসলামে একটি সুন্নত। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হযরত নবী (সা:) থেকে বর্ণিত করেন “যে ব্যক্তি ইফতারের সময়ে আদব-এ-দুআ করে, তার দোআ কবুল হয় এবং সাথে থাকা মুসলিমদের দোআও কবুল হয়।” (তিরমিযী)। ইফতার করতে একটি দোয়া রয়েছে। যা রোজা খোলার দোয়া হিসেবে পড়তে হবে।
রোজা খোলার দোয়া
শেষরাতে সেহরি করে রোজা শুরু করতে হবে। মাগরিবের আযানের সাথে সাথে ইফতারের মাধ্যমে তা পরিপুর্ণ করতে হবে। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঁঃ) ও তা সাহাবিগণ ইফতারের সময় দোয়া পড়তেন। আমাদের কেউ এই দোয়া পড়তে হবে। রোজা খোলার দোয়াঃ بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি।
ইফতারের বাংলা নিয়ত: হে আল্লাহ, আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমজানের ফরজ রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনে রোজার পরিসমাপ্তি করছি ও রহমতের আশা নিয়ে ইফতার শুরু করছি। তারপর ‘বিসমিল্লাহি ওয়াআলা বারাকাতিল্লাহ’ বলে ইফতার করা।
ইফতার করার পূর্বে এই দোয়া টি পড়বেন। এটি সাধারণত ইফতারের দোয়া। সেহরি ও রোজার জন্য আলাদা নিয়ত ও দোয়া পড়তে হবে।
রোজার নিয়ত
যেকোনো কাজের জন্য আমাদের সঠিক ভাবে নিয়ত করতে হবে। নিয়তের মাধ্যমে রোজা পালন করলে আমাদের রোজা কভুল হবে। নিয়ত না পরেও রোজা রাখা যাবে। তবে রোজার জন্য নিয়ত করা সুন্নাত। যা আমাদের আগের মুসলিমরাও পালন করতো। نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم এই দোয়া পড়ে রোজার নিয়ত করতে হবে।
বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলিম।
বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ, আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসে তোমার পক্ষ থেকে ফরজ করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
এই দোয়াতটি সেহরির শেষ করার পর পর পড়বেন। সেহরির সময় শেষ হলে পড়বেন না।
শেষ কথা
রোজা সম্পূর্ণ করার জন্য ইফতার করাই হচ্ছে রোজা খোল। আর ইফতারের পূর্বে আমাদের দোয়া পড়তে হবে। এই দোয়াতই ইফতার খোলার দোয়া হিসেবে পরিচিত। আল কুরআন ও হাদিসেও ইফতারের দোয়া সম্পর্কে বলা আছে। চেষ্টা করবেন, রোজা খোলার দোয়া পড়ার পর ইফতার করতে।
আরও দেখুনঃ