বাংলাদেশি নাগরিক বা পাসপোর্টকারীদের জন্য ভারতীয় ভিসার প্রসেসিং খরচ একদম ফ্রি। অর্থাৎ ভিসা আবেদন করা পর ভিসার জন্য কাজ করতে কোনো টাকা লাগবে না। তবে ভিসার আবেদন ফি ও অন্যান্য খরচ দিতে হবে। আর যাদের কাছে কোণও পাসপোর্ট নেই, তাদের কে প্রথমে পাসপোর্ট বানাতে হবে। পাসপোর্ট বানাতে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগবে। যাদের আগে থেকে কোনো ধরনের পাসপোর্ট থাকবে না, তাদের ২০ হাজারের মতো বা এর থেকে বেশি খরচ হবে। বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে
ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়ার জন্য ফি প্রদান করা লাগে। বাংলাদেশে ভারতের ভিসা আবেদন ও প্রসেসিং এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে। IVAC (Indian Visa Application Centre) এই তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। https://www.ivacbd.com/ এই ওয়েবসাইটে ভিসা আবেদন ফি কত টাকা তা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অনশোলে IVAC এর অফিস আছে। সেখানে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন বা অনলাইনে আবেদন করে আবেদন ফর তাদের অফিসে জমা দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন ফি মাত্র ৮০০ টাকা। এছাড়া ৩% চার্জ নেওয়া হয়। সকল ভ্যাট ও খরচ মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা আবেদন ফি ৮২৪ টাকা। ভিসা প্রসীসিং করতে কোনো টাকা লাগবে না। ভিসা কোন ক্যাটাগরি বা কত দিনের জন্য বানানো হচ্ছে তার উপরের বাড়তি খরচ নির্ভর করে। তিন বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা-র জন্য ১৬০০ টাকা ফি দেওয়া লাগবে। আর জরুরি ভাবে ভিসা বানাতে হলে আরও ২০০০ টাকা বেশি দেওয়া লাগবে। ভারতের ভিসা খরচ প্রায় ৩০০০ হাজার টাকা। এছাড়া মেডিকেল ফি, পাসপোর্ট ফি ও অন্যান্য খরচ রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসার জন্য পাসপোর্ট বানাতে কত টাকা লাগে
প্রথমত বাংলাদেশ থেকে যেকোনো দেশে যেতে পাসপোর্ট বানাতে হবে। আর এই পাসপোর্ট এর খরচ ১২ হাজার থেকে ২০ হাঝার টাকা পর্যন্ত। একটি পাসপোর্ট এর মাধ্যমেই যেকোনো দেশের ভিসা বানানো যাবে। তাই যেকোনো পাসপোর্ট থাকলে ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে। এবং পাসপোর্ট টি বৈধ ও ভ্যালিড হতে হবে। অন্য কার পাসপোর্ট ব্যবহার করে নিজের জন্য ভিসা বানানো যাবে না। যদি পাসপোর্ট সহ ভারতের ভিসা বানাতে চান, তাহলে আপনার জন্য ১৫ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হবে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসার জন্য কি কি লাগবে
ভারতে সাধারণ মেডিকেল ও ভ্রমণের জন্য যাওয়া হয়। এজন্য টুরিস্ট ভিসা বা মেডিকেল ভিসা প্রয়োজন হবে। সকল ভিসার জন্য প্রায় সেম সেম ডকুমেন্ট লাগে। এক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত তথ্য, পাসপোর্ট, ছবি বা ব্যাংক ব্যালেন্স এর ডকুমেন্ট লাগে। আর বিশেষ করে মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট সাথে পুলিশ ক্লিয়ারনেস লাগবে।
- ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
- সদ্য তুলা ছবি।
- ব্যাক্তিগত তথ্য, এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র। এগুলো না থাকলে জন্মসনদ বা শিক্ষা মূলক ডকুমেন্ট ও সার্টিফিকেট।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- ভ্রমণ বিমা।
- ভিসা আবেদন পত্রের ডকুমেন্ট।
সময়ের পরিবর্তনে আরও নতুন নতুন তথ্য বা কাগজ লাগতে পারে। তাই ভিসা আবেদনের পূর্বে এজেন্সিদের সাথে যোগাযোহ করে নিতে হবে। ডকুমেন্ট, আবেদন ফি ও পাসপোর্ট সহ ভারতের যেকোনো ভিসা বানাতে মোট ৩০ হাজারের উপরে খরচ হবে।
শেষ কথা
ভারতের ভিসা বানাতে প্রসেসিং ফি ব্যাতিত সকল খরচ নেওয়া হবে। ভিসার ধরন, মেয়াদ ও পাসপোর্ট এর উপরে ভিসার দাম নির্ভর করে। অন্যান্য খরচ ব্যাতিত ১ থেকে ৩ হাজারের মধ্যে ভারতের ভিসা বানানো যাবে। আর সকল খরচ মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজ্রের উপরে টাকা লাগবে। যাতায়াতের জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ভাড়া লাগবে। ভিসা আবেদনের পূর্বে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে জেনে নিতে হবে।
আরও দেখুনঃ
ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৪
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ, ভিসার দাম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র