ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। এই দিন টি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার এই দিনে স্কুল, কলেজ বা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ সরকারি-বেসরকারি অফিসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সম্মানীয় ব্যাক্তিদের কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা এই আলোচনা সভায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি বক্তব্য ও ভাষণ রাখে।
তেমনি আপনাকেও সেখানে আমন্ত্রণ করলে, মাতৃ ভাষা দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে হবে। বক্তব্যের শুরুতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানীয় বাকটি মহোদয়য়, অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের কে সালাম জানাতে হবে। এরপর আমাদের ভাষা শহিদদের কে স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করতে হবে। আলোচনা সভার এই ভাষণে ২১ শে ফেব্রুয়ারির বিভিন্ন ইতিহাস, তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। কিভাবে সম্পূর্ণ ভাষণ শেষ করবেন জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি বক্তব্য
আমরা এই সময়ে একসঙ্গে উপভোগ করছি আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসের আনন্দ। ২১শে ফেব্রুয়ারি একটি মহৎ অনুষ্ঠান, যা আমাদেরকে একত্রে আন্তর্জাতিক ভাষা সমৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের মূল্যায়ন করতে অনুমতি দেয়।
এই দিবসটির ইতিহাস আমাদেরকে এক দিকে দেখায়, কিভাবে ভাষা মাধ্যমে মানব সম্প্রদায়ের ভিন্নতা এবং সমৃদ্ধির মূল্যায়ন হতে পারে। এটি একটি অমূল্যবান সময়, যখন আমরা একঅপরকে শ্রদ্ধাশীল হয়ে থাকি এবং আমাদের ভাষা পরিচয় মূল্যবান হয়।
মাতৃ ভাষা একটি সম্প্রদায়ের বাস্তবিকতা এবং ঐতিহ্যিক ধারার প্রতি একটি অমূল্য প্রভাবী সাধন। এটি অসীম সমৃদ্ধি এবং ভূমিকা পূর্ণ, আমাদের কথাবার্তা ও সাহিত্যিক সাধারণ রূপে প্রকাশ হয়।
আমরা এই দিনে একসঙ্গে একই ভাষায় কথা বলতে, একঅপরকে শৃঙ্গার করতে এবং একটি সাক্ষরিক ভূমিকায় একটি ভাষা হিসেবে উন্নত হতে দেখতে চাই। আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসে সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধি এবং সহযোগিতা দেখতে এবং ভাষার মাধ্যমে আমাদের পৃথিবীকে একত্রিত করতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্তরে প্রতিশ্রুতি নেয়ার জন্য এই দিনটি আমাদের জন্য একটি অমূল্য অসীম অবসর।
আমরা একসঙ্গে এগিয়ে চলতে পারি, ভাষার মাধ্যমে আমাদের সমগ্র মানবিক অসীম সমৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্য উজ্জীবিত করতে এবং এই দুনিয়াকে একটি মাতৃভূমি হিসেবে স্বীকৃত করতে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো,
২১ শে ফেব্রুয়ারি বক্তব্য ও ভাষণ ২০২৪
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার শ্রদ্ধেয় প্রধান (অতিথি, বিশেষ অতিথি, প্রধান শিক্ষক) সবাইকে জানাই আসসালামুয়ালাইকুম। আজকে এই অনুষ্ঠানের প্রধান কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই নাম টি আমরা শুনলেও এর কারণ ও ইতিহাস সবাই জানিনা। আমার এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা বলব। সেই সাথে আজকে ভাষা শহিদদের স্মরণ করব। আমরা তাদের কে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাবো।
একুশে ফেব্রুয়ারি, ঐ একটি দিন যা নির্বিঘ্নে আসতে হবে, নাহলে আমরা কখনোই মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। এই দিনটি আসলেই একটি বিশেষ দিন, একটি অমূল্য সম্পত্তি, যা বাংলাদেশী জনগণের হৃদয়ে ভরা আছে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে ছিল একটি মহৎ অনুষ্ঠান, যেখানে মাতৃভাষা বাংলার দাবি জাগানো হয়। এই ঘটনার মাধ্যমে জনগণের চেতনা জাগা এবং মাতৃভাষার অধিকারের প্রতি আগ্রহ উৎপন্ন হয়। সেই দিনে জনগণ একসঙ্গে আসে লাল-সবুজ পতাকা হাতে ধরে, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ চিরকালের জন্য স্থাপন করে।
একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল না শুধুমাত্র ভাষা সংরক্ষণের দিন, বরং এটি ছিল মুক্ত বাংলাদেশের আত্মসমর্পণের একটি নতুন দিন। এই অমূল্য দিনটির মাধ্যমে বাঙালি জনগণ একত্রে আসে, আত্মনির্ভর এবং একটি মুক্ত দেশ হিসেবে উদাহরণ স্থাপন করে।এই দিনটি আমাদের জীবনে একটি আদর্শ এবং একটি মৌল্যাত্মক দিন হিসেবে রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি আসতে হলে সকল বাংলাদেশী একত্রে আসতে চায় এবং মা ভাষার প্রতি গর্ব ও ভালোবাসা অনুভব করতে চায়।
এই দিনটি আমাদের জীবনে একটি অমূল্য সম্পত্তি, একটি উদাহরণ এবং একটি স্মৃতি হিসেবে রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারির এই মহৎ দিনে সকল বাংলাদেশীকে একত্রে এসে একই উদ্দীপতা এনে আমরা আমাদের দেশকে আরও উন্নত করতে পারব।
শেষ কথা
প্রতিটি আলোচনার সভার ভাষণ আলাদা। মনে রাখতে হবে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষণে শহিদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে উল্লেখ থাকতে হবে। এই সকল বিষয়ে কিছু কথা বলে আপনার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য টি শেষ করবেন। এজন্য এখানে দেওয়া বক্তব্য গুলো অনুশীলন করতে পারেন। আশা করছি ২১ শে ফেব্রুয়ারি বক্তব্য ও ভাষণ কিভাবে দিতে হবে তা জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ